মুক্তিযুদ্ধ

খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা: মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম,বীর উত্তম

মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ছিলেন ১ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য তাকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়। বীর উত্তম খেতাবে তার সনদ নম্বর ১১।
মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম। ছবি: সংগৃহীত

(মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছরে দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা নিয়ে বিশেষ আয়োজন 'মুক্তিযুদ্ধের খেতাবপ্রাপ্ত যোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা'। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সাধারণত আমরা ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের বীরত্ব সম্পর্কে জানি। কিছুটা আড়ালে ঢাকা পড়ে যান আমাদের বাকি খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা। দ্য ডেইলি স্টার উদ্যোগ নিয়েছে সেই জানা ও অজানা মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা নিয়মিত প্রকাশ করার।  ক্রমানুসারে বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা নিয়েই চলছে ধারাবাহিক এই আয়োজন। পর্যায়ক্রমে বীর বিক্রম, বীর প্রতীক মিলিয়ে সর্বমোট ৬৭২ জন মুক্তিযোদ্ধার বীরত্বগাঁথা প্রকাশ করবে দ্য ডেইলি স্টার। আমাদের আজকের পর্বে রইল মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম'র বীরত্বগাঁথা)

মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ছিলেন ১ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য তাকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়। বীর উত্তম খেতাবে তার সনদ নম্বর ১১।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ চট্টগ্রামে ইপিআর সেক্টর হেডকোয়ার্টারে ক্যাপ্টেন পদে কর্মরত ছিলেন রফিকুল ইসলাম। অন্যান্য দিনের মতো সেদিনও তিনি সকাল ৭টার দিকে অফিসে গেলেন। পাকিস্তানি মেজর ইকবাল শফি রফিকুল ইসলামকে দেখেই বললেন, 'আপনাকে ভীষণ ক্লান্ত দেখাচ্ছে, রফিক। আপনার ভীষণ খাটুনি গেছে। কক্সবাজারে গিয়ে কয়েকটা দিন বিশ্রাম নিন। আজই যেতে পারেন। আমি কমান্ডিং অফিসারকে বলে দেবো।'

গত কয়েক বছরের মধ্যে ছুটি নেননি রফিকুল ইসলাম। কিন্তু মেজর ইকবালের পীড়াপীড়ি কেমন যেন সন্দেহজনক মনে হলো তার। তিনি জবাবে বললেন, 'কিন্তু স্যার, আপনি তো জানেন গত জানুয়ারি থেকে সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে।' মেজর ইকবাল এবার বললেন, 'ও কথা বাদ দেন। আমি কমান্ডিং অফিসারকে বুঝিয়ে বলতে পারব। আমার বিশ্বাস তিনি ছুটি মঞ্জুর করবেন।'

সেদিন দুপুর ২টা পর্যন্ত ইপিআর হেডকোয়ার্টারে ছিলেন ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম। এ সময় সারাক্ষণ তাকে ছায়ার মতো অনুসরণ করেছিলেন মেজর ইকবাল।

ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মীমাংসা হয়ে গেছে— এমন একটি গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল সেদিন। পাকিস্তান রেডিওতেও বৈঠকে ফয়সালার আভাস দেওয়া হয়েছিল। যদিও কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এই খবরের সত্যতা পাওয়া যায়নি। বিকেলের দিকে বাসা থেকে নিজ কার্যালয়ে ফোন করে টেলিফোনে সব সেনাকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন রফিকুল ইসলাম।

ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম ও তার বন্ধু ক্যাপ্টেন মুসলিম উদ্দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে যখন খেতে বসলেন, তখন চট্টগ্রামের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. জাফর সেখানে গেলেন। তিনি বললেন, 'মনে হচ্ছে আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া গোপনে করাচি ফিরে গেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে পাকিস্তানি সেনারা ট্যাংক নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।' ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম বললেন, 'আপনি কি সত্যি সংবাদ বলছেন?' জবাবে ডা. জাফর বললেন, 'ঢাকা থেকেই আমরা এই খবর পেয়েছি। খবর পেয়ে আমাদের দল চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকীর বাসায় বৈঠক করেছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি আপনাকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ করেছেন।'  

ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলামের হাত তখনো খাবারে। তার চোখে ভেসে উঠল গত কয়েক দিনের গণহত্যার চিত্র। তিনি ডা. জাফরকে বলেন, 'ষোলশহর ও ক্যান্টনমেন্টে গিয়ে বাঙালি সেনাদের আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে বলুন। তারপর রেলওয়ে হিলে আমাদের সঙ্গে দেখা করবেন।'

এরপর ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম চট্টগ্রামের হালিশহরের ইপিআর সদর দপ্তরে ফোন করে অস্ত্রাগার নিয়ন্ত্রণ এবং পাকিস্তানি অফিসারদের আটক রাখার নির্দেশ দেন। নৌবাহিনীর সদর দপ্তরের দিক থেকে হামলা হতে পারে বলে তিনি কিছু সেনা মোতায়েনের  আদেশ দেন। রাত পৌনে ৯টার দিকে তিনি বাসা ছেড়ে ওয়্যারলেস কলোনির দিকে যাত্রা শুরু করে ক্যাপ্টেন হায়াতসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে হালিশহরে পৌঁছান তারা। হালিশহর ছিল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সেখানে ৩০০ পশ্চিম পাকিস্তানি ইপিআর সেনা ছিল। তাদের বেশিরভাগই ছিল সিনিয়র জেসিও ও এনসিও।

প্রথমে রফিকুল ইসলামরা পুরো এলাকা ঘিরে ফেললেন। ৩টি অস্ত্রাগার দখলে থাকায় তারা বেশ সুবিধাজনক অবস্থায় ছিলেন। রাত ১০টার মধ্যেই নৌবাহিনীর সদর দপ্তরের দিক থেকে হামলা প্রতিহত করার জন্য ২ প্লাটুন সেনা পাঠানো হলো। পশ্চিম পাকিস্তানি সুবেদার মেজর ইতবারকে গ্রেপ্তার করা হলো।

এরপর উপকূলীয় বাঁধ বরাবর পাকিস্তানি সেনাদের চলাচল প্রতিরোধ করার জন্য ২টি প্লাটুন পাঠানো হলো। একটি কোম্পানি রেলওয়ে হিল প্রতিরক্ষার দায়িত্বে রাখা হলো। প্রায় ১০০ সেনাকে ৩ দলে বিভক্ত করে আগ্রাবাদ সড়ক ও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোতায়েন করা হলো। বাকি সেনাদের হালিশহরেই নিয়োজিত করা হলো। রামগড়ে থাকা সেনাদের ফেনী নদীর উপরের শুভপুর ব্রিজ ধ্বংস করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এবং বাকি সেনাদের চট্টগ্রামে যেতে বলা হলো।

রাত পৌনে ১২টার দিকে রেলওয়ে হিলের সদর দপ্তরে এসে পৌঁছালেন ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম। তিনি ভেবেছিলেন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টার এবং ষোলশহরে মোতায়েন করা ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেনারা ক্যান্টনমেন্ট দখল করতে সক্ষম হবে। কিন্তু রাত সাড়ে ১১টার দিকে ২০ বেলুচ রেজিমেন্টের সেনারা ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারের বাঙালি সেনাদের ওপর  হামলা চালায়। গার্ডদের হত্যা করে অস্ত্রাগার নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় তারা। এরপর পৈশাচিক গণহত্যায় মেতে উঠে। তাদের ব্রাশফায়ারে এ সময় প্রায় ১ হাজার বাঙালি সেনা নিহত হয়।

ক্যাপ্টেন রফিকুল তার অধীনস্থ প্লাটুনগুলো নিয়ে একটি আবাসিক ভবনে সদর দপ্তর স্থাপন করলেন। তিনি বেতারকেন্দ্র, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ আক্রমণ এবং দখল করার উদ্দেশ্যে সেনা পাঠালেন। এরই মধ্যে খবর পেলেন, চট্টগ্রামের সব সীমান্তবর্তী ফাঁড়ির ইপিআর সৈনিকরা অবাঙালি সৈনিকদের নিরস্ত্র করে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দিতে চট্টগ্রাম শহরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

২৬ মার্চ ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলামের কাছে খবর এলো, পাকিস্তানি সেনারা নৌঘাঁটি থেকে অগ্রসর হয়ে হালিশহরে তাদের প্রতিরক্ষাব্যূহের উপর আক্রমণ চালিয়েছে। তবে ইপিআর ট্রুপস এই আক্রমণ প্রতিহত করে। পাকিস্তানিরা মূলত হালিশহরে কোনো প্রতিরোধ আশা করেনি। তারা প্রস্তুতই ছিল না। পাকিস্তানিদের প্রথম দলটি হালিশহরে বাঙালি সেনাদের  প্রথম প্রতিরক্ষাব্যূহের সম্মুখীন হতেই বাঙালি সেনারা গুলি চালায়। অতর্কিত আক্রমণে বহু পাকিস্তানি সেনা হতাহত হয়। পিছু হটতে বাধ্য হয় তারা।

এ সময় ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম কুমিল্লা থেকে ক্যাপ্টেন বাহারের মাধ্যমে  টেলিফোনে জানলেন, ৮০ থেকে ১০০ সামরিক যানের একটি বিশাল কনভয় কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট থেকে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। এরপর ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম পাকিস্তানি কনভয়টির ওপর অ্যামবুশ করার জন্য একজন জেসিওর নেতৃত্বে হালিশহর থেকে হালকা ও ভারি মেশিনগান, মর্টার ও রকেট লঞ্চারসহ এক কোম্পানি সেনা পাঠান।

এদিকে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট থেকে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টের দিকে যাওয়া পাকিস্তানি সেনারা ছিল ২৪ ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রেজিমেন্ট ও ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ার।  তাদের সঙ্গে ছিল ১২০ মিলিমিটার মর্টারবাহী একটি দল। পাকিস্তানি সেনাদের নেতৃত্বে ছিলেন ৫৩ ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার ইকবাল শফি।

ফেনীর শুভপুর ব্রিজ মেরামত করতে সময় লাগবে বলে মর্টার আর ইঞ্জিনিয়ার ইউনিটকে পেছনে রেখে ব্রিগেডিয়ার শফি কমান্ডের পদাতিক সেনাদের নিয়ে চট্টগ্রামের পথে রওনা হন। বিকেলের দিকে শফির নেতৃত্বে পাকিস্তানি দলটি চট্টগ্রাম থেকে ১৪ মাইল দূরে কুমিরাতে পৌঁছায়।

এমন সময় রাস্তার পাশের পাহাড় থেকে তাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায় ইপিআর সেনারা। এই অ্যামবুশে প্রায় ৭০ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। পাকিস্তানের বেশিরভাগ সামরিক যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাকিস্তানি সেনারা এ সময় পালিয়ে যায়। পেছনের পাকিস্তানি দলটি এসে তখন সুবিধাজনক জায়গায় অবস্থান নিয়ে পাল্টা গুলিবর্ষণ শুরু করে। ২ পক্ষের মধ্যে এক ঘণ্টাব্যাপী গুলিবর্ষণে ইপিআরের ৫ জন সৈনিক গুরুতর আহত হয়। পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে ইপিআরের সৈনিকদের এই অ্যামবুশ ছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে প্রথম সরাসরি আক্রমণ।

 মুক্তিযুদ্ধের ১০ জুন ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলামকে ১ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই সেক্টরের অধীনে বৃহত্তর চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার মহকুমা এবং ফেনীর মুহুরী নদীর পূর্বপাড় পর্যন্ত ১৮ হাজার ৬০৩ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত এলাকা ছিল। ১ নম্বর সেক্টরের অধীনে ছিল মোট ৫টি সাব সেক্টর। এই সাব সেক্টরগুলো হলো  ঋষিমুখ, শ্রীনগর, মনুঘাট, তবলছড়ি ও ডিমাগিরি। এই সেক্টরে মোট ২২ হাজার ১০০ মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধ করেছিলেন।

এই অঞ্চলে বিখ্যাত সব যুদ্ধে নেতৃত্ব ও নির্দেশনা দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম। এর মধ্যে ১৬ জুলাইয়ের গুতুমা রেইড, ৩১ জুলাইয়ের দেবপুর অ্যামবুশ, ২৮ আগস্টের মীরসরাই রেললাইন অপারেশন, ২০ ও ২২ সেপ্টেম্বরের  চম্পকনগর বিওপি আক্রমণ, ২৫ সেপ্টেম্বরের ফেনী-বিলোনিয়া সড়কে রেলওয়ে ব্রিজ ধ্বংস, ৬ অক্টোবরের মদুনাঘাট বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন ধ্বংস, ৭ নভেম্বরের সলিয়াদীঘি যুদ্ধ উল্লেখযোগ্য।

রফিকুল ইসলামের জন্ম ১৯৪৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার নাওড়া গ্রামে। নিজ গ্রাম নাওড়াতেই তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার হতেখড়ি। ১৯৫৯ সালে অন্নদা মডেল হাইস্কুল থেকে মেট্রিক এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পরে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন তিনি। ছাত্রাবস্থায় সাংবাদিকতার হাতেখড়িও হয়। ১৯৬৩ সালে যোগ দেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। পাকিস্তানের কাকুল মিলিটারি একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর ১৯৬৫ সালে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরে কমিশন পান তিনি। পরে ১৯৬৮ সালে লাহোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে তাকে বদলি করা হয় পূর্ব পাকিস্তানে।

তিনি নিজের রেজিমেন্টসহ যশোর ক্যান্টনমেন্ট রেজিমেন্টের অ্যাডজুট্যান্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কিছুদিন পর তাকে বদলি করা হয় দিনাজপুরে ইপিআরের ৮ নম্বর উইংয়ের অ্যাসিসটেন্ট উইং কমান্ডার পদে। সেখান থেকে ১৯৭০ সালের প্রথম দিকে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের চট্টগ্রাম সেক্টর হেডকোয়ার্টারে অ্যাডজুট্যান্ট পদে নিয়োগ পান রফিকুল ইসলাম।

স্বাধীনতার পর  ১৯৭২ সালের ২৯ এপ্রিল সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি পান তিনি। এরপর কিছুকাল ইংরেজি দৈনিক 'দি পিপলস ভিউ'র  সহযোগী সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম ঢাকা ওয়াসার চেয়ারম্যান ছিলেন। পরে হস্তশিল্প বোর্ড ও বিআইডব্লিউটিসি'র চেয়ারম্যান হন তিনি।

 

তথ্যসূত্র:

 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র: নবম খণ্ড, দশম খণ্ড

লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে/ মেজর (অব:)  রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম

বাংলাপিডিয়া

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সেক্টর ভিত্তিক ইতিহাস: সেক্টর ১

 

আহমাদ ইশতিয়াক

[email protected]

Comments

The Daily Star  | English

Anontex Loans: Janata in deep trouble as BB digs up scams

Bangladesh Bank has ordered Janata Bank to cancel the Tk 3,359 crore interest waiver facility the lender had allowed to AnonTex Group, after an audit found forgeries and scams involving the loans.

7h ago