ক্যাপিটলে সহিংসতা: ট্রাম্প দায়মুক্তি পাবেন কিনা বিবেচনা করছে আদালত
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে হামলার ঘটনায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়মুক্তি পাবেন কিনা সেটি বিবেচনা করছেন আদালত।
সিএনএন জানায়, গতকাল সোমবার ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিচারক অমিত মেহতা ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প যে বক্তৃতা দিয়েছিলেন তা নিয়ে মামলার শুনানিতে বাদি ও বিবাদি পক্ষের বক্তব্য শোনেন।
সোমবারের শুনানিতে বিচারক অমিত মেহতা উল্লেখ করেন, ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পই তার সমর্থকদের ক্যাপিটল অভিমুখে যাত্রার অনুরোধ জানান। এরপর, সহিংসতা শুরু হলেও পরবর্তী ২ ঘণ্টায় তিনি একবারও তাদেরকে থামতে বলেননি।
অমিত বলেন, 'এ ধরনের কথা এক বার বলে সেখান থেকে পিছু হটা খুবই কঠিন।'
তিনি আরও বলেন, 'হাতে প্রায় ২ ঘণ্টা সময় থাকা সত্ত্বেও ট্রাম্প এক বারও বলেন নি, "থামুন, ক্যাপিটল থেকে বের হয়ে আসুন। আপনারা এরকম করবেন, আমি তা চাইনি।"
বিচারক আরও জানতে চান, 'প্রেসিডেন্ট তাৎক্ষণিকভাবে এই সহিংসতার প্রতি নিন্দা জানাননি। বরং টুইট করেছেন, যেটি পরিস্থিতিকে আরও উস্কে দিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের কী করণীয়? বিষয়টি কী এমন নয় যে প্রেসিডেন্ট সেদিন ক্যাপিটলের ভেতরে মানুষ যেসব কাজ করছিল, সেগুলোর সঙ্গে একমত পোষণ করেছিলেন?'
ক্যাপিটলে সহিংসতা নিয়ে ৩টি মামলার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গতকাল ৫ ঘণ্টা ধরে শুনানি চলে। এই মামলাগুলোতে ট্রাম্পসহ রিপাবলিকান দলের অন্যান্যরা অভিযুক্ত হয়েছেন।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অমিত যে ধারায় প্রশ্ন করেছেন, তা ট্রাম্পের জন্য অশনি সংকেত। ট্রাম্প সমর্থকদের সহিংসতার প্রেক্ষাপটে অনেকেই ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের করেছেন, যেগুলোর পরিণতি এই ৩টি মামলার রায়ের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করবে। কিছু মামলা দায়ের করা হয়েছে একটি সুনির্দিষ্ট নাগরিক অধিকার আইনের আওতায়, যেটি প্রচলিত ভাষায় কু ক্ল্যাক্স ক্ল্যান (কেকেকে) আইন নামে পরিচিত। এই আইনের আওতায় কর্মকর্তাদের ভয় ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে সরকারি দায়িত্ব পালন করতে বাঁধা দেওয়ার অপরাধে মামলা দায়ের করা যায়।
Comments