জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যে ওমিক্রনের বড় ঢেউয়ের আশঙ্কা
জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যে ওমিক্রনের বড় ঢেউ শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। আজ শনিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এপ্রিলের শেষের দিকে এই ভ্যারিয়েন্টে মৃত্যুর সংখ্যা ২৫ হাজার থেকে ৭৫ হাজার পর্যন্ত হতে পারে। অবশ্য সবকিছু নির্ভর করছে ভ্যাকসিনগুলো কতটা কাজ করবে তার ওপর।
তবে, গবেষণার সঙ্গে জড়িত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মডেলিং ঘিরে এখনো অনিশ্চয়তা আছে।
তারা বলেছেন, হাসপাতালগুলোকে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি থেকে বিরত রাখতে করতে কঠোর বিধি-নিষেধের প্রয়োজন হতে পারে।
লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের (এলএসএইচটিএম) রোগ মডেলারদের একটি বিশেষজ্ঞ দল এই গবেষণাটি করেছেন। তারা সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন, এটি নিশ্চিত কিছু নয়। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে কী ঘটতে পারে তা নিশ্চিত করা বলা যাচ্ছে না। তাই শুধু সম্ভাব্য একটি ফলাফল।
গবেবেষকরা জানিয়েছেন, বুস্টার ডোজ ওমিক্রনের প্রভাব হ্রাস করতে পারে।
শনিবার যুক্তরাজ্য আরও ৬৩৩ জনের ওমিক্রন শনাক্তের পর এই গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। তবে, আক্রান্তের সংখ্যাটি আরও বেশি বলে অনুমান করা হচ্ছে।
গবেষকদের একজন ড. নিক ডেভিস বলেছেন, ওমিক্রন 'খুব দ্রুত' ছড়িয়ে পড়ছে, যা 'উদ্বেগের বিষয়'। বছরের শেষের দিকে যুক্তরাজ্যে এটি করোনার প্রভাবশালী ভ্যারিয়েন্টে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে বর্তমানে প্রতি ২.৪ দিনে সংক্রামিত মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে।
ড. ডেভিস বলেছেন, আমরা যা দেখছি তার ওপর ভিত্তি করে ধারণা করছি যুক্তরাজ্যে ওমিক্রনের একটি বড় ঢেউ আসবে।
তবে, গবেষণায় ওমিক্রন ঢেউ মোকাবিলায় নতুন বিধি-নিষেধের প্রভাবকে গুরুত্ব দিয়ে ড. ডেভিস জানান, কঠোর বিধি-নিষেধ মানুষের শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্য 'ভয়ঙ্কর' তাই যা করার সাবধানে করতে হবে।
Comments