ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার ‘পিছু হটার সুযোগ নেই’: পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অচলাবস্থায় রাশিয়ার পিছু হটার কোনো সুযোগ নেই এবং পশ্চিমারা ‘আক্রমণাত্মক অবস্থান’ থেকে না সরলে রাশিয়া কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হবে।
ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: রয়টার্স

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অচলাবস্থায় রাশিয়ার পিছু হটার কোনো সুযোগ নেই এবং পশ্চিমারা 'আক্রমণাত্মক অবস্থান' থেকে না সরলে রাশিয়া কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হবে।

গতকাল মঙ্গলবার তিনি এসব কথা বলেন বলে আজ রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। পুতিন সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।

পুতিন বলেন, ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্র যা করছে তা আমাদের দোরগোড়ায়... এবং তাদের বোঝা উচিত আমাদের আর পিছু হটতে হবে না। তারা কী মনে করে, আমরা কেবল অলসভাবে দেখে যাব। যদি আমাদের পশ্চিমা সহকর্মীরা তাদের আক্রমণাত্মক অবস্থান অব্যাহত রাখে তাহলে আমরা পর্যাপ্ত সামরিক-প্রযুক্তিগত প্রতিক্রিয়া জানাব। বন্ধুত্বহীন উদ্যোগগুলোতে আরও কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাব।'

তবে, পুতিন ঠিক কোন ধরনের উদ্যোগ নেবেন তা ব্যাখ্যা করেননি। তার বক্তব্যের এই অংশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভও আগেই ব্যবহার করেছিলেন। তিনি সতর্ক করেছিলেন, ইউরোপে মধ্যবর্তী পাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পুনরায় মোতায়েন করতে পারে রাশিয়া।

ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ তুলেছিল- আগামী মাসের শুরুতে সীমান্তে হাজার হাজার রুশ সেনা ইউক্রেন আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে, রাশিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ইউক্রেন এতে বলেছিল, পশ্চিমের কাছ থেকে তাদের কিছু অঙ্গীকার প্রয়োজন। যার মধ্যে আছে, পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সামরিক কার্যকলাপ পরিচালনা না করার প্রতিশ্রুতি। কারণ পশ্চিমা জোটের সঙ্গে ইউক্রেনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক এবং ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের বিরুদ্ধে ন্যাটো ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের সম্ভাবনার কারণে নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমার জেলেনস্কি শুক্রবার বলেছেন, তিনি রাশিয়ার সঙ্গে 'সরাসরি আলোচনার জন্য প্রস্তুত, কোনো ফরম্যাটে আমাদের আপত্তি নেই'। তবে মস্কো বারবার বলেছে, এজেন্ডা কী হবে তা নিয়ে স্পষ্টতা ছাড়া তারা এই জাতীয় বৈঠকের কোনো অর্থ খুঁজে পাই না।

ক্রেমলিনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পুতিন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক ফোনালাপে ৪ ক্ষমতাসম্পন্ন নরম্যান্ডি গ্রুপকে পুনরায় আহ্বান করার কথা বলেছেন। যা রাশিয়া, ইউক্রেন, ফ্রান্স এবং জার্মানির নেতাদের একত্রিত করে এবং বিদ্যমান শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে কিয়েভের দৃঢ় উদ্যোগের প্রয়োজন হবে। তবে, ইউক্রেন বলছে- রাশিয়া এবং তার প্রক্সিরা এতে জড়াতে অস্বীকার করছে।

পশ্চিমা শক্তি রাশিয়াকে দেখাতে আগ্রহী যে তারা ইউক্রেন এবং ন্যাটোর সমর্থনে দৃঢ়। জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজও পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মঙ্গলবার বাইডেন ও পুতিনের মধ্যে ব্যক্তিগত বৈঠক আপাতত বাতিল করেছেন। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি মনে করি আমাদের দেখতে হবে- কূটনৈতিকভাবে কোনো অগ্রগতি হয় কিনা।

Comments

The Daily Star  | English

Create right conditions for Rohingya repatriation: G7

Foreign ministers from the Group of Seven (G7) countries have stressed the need to create conditions for the voluntary, safe, dignified, and sustainable return of all Rohingya refugees and displaced persons to Myanmar

6h ago