যুদ্ধ বন্ধ করতে শুধু পুতিনের সঙ্গে বসতে চাই: জেলেনস্কি

প্রায় ৩ মাস ধরে চলছে ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান। এতে উভয় পক্ষই ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল থেকে শান্তি আলোচনায় বসার জন্য উভয় পক্ষের ওপর চাপ বাড়ছে।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে ভিডিওর মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন জেলেনস্কি
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে ভিডিওর মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন জেলেনস্কি। ছবি: রয়টার্স

প্রায় ৩ মাস ধরে চলছে ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান। এতে উভয় পক্ষই ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল থেকে শান্তি আলোচনায় বসার জন্য উভয় পক্ষের ওপর চাপ বাড়ছে।

গতকাল সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, যুদ্ধ শেষ করতে শুধু পুতিনের সঙ্গে বসতে চাই। অন্য কারো সঙ্গে নয়।

গতকাল বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে দেওয়া ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি আরও জানান, রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করা ক্রমশ কঠিন হচ্ছে। কারণ হিসেবে তিনি রাশিয়ার দখলে থাকা অঞ্চলগুলোতে বেসামরিক ব্যক্তিদের আক্রান্তের প্রমাণ পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন।

রাশিয়া শুরু থেকেই বেসামরিক লোকদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করছে।

একজন দোভাষীর সহায়তায় জেলেনস্কি বলেন, 'রাশিয়ান ফেডারেশনের সব সিদ্ধান্ত নেন প্রেসিডেন্ট। আমরা যদি তার ব্যক্তিগত অংশগ্রহণ ছাড়া এই যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেই, তাহলে সে সিদ্ধান্ত অর্থহীন হবে।'

জেলেনস্কি জানান, কিয়েভের বাইরে রাশিয়া যেসব এলাকা দখল করে রেখেছে, সেখানে গণহত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ফলে আলোচনার আয়োজন করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে এবং তিনি পুতিন ছাড়া অন্য কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনাকে নাকচ করে দেন।

দৃঢ় কণ্ঠে জেলেনস্কি বলেন, 'আমি প্রেসিডেন্ট ছাড়া রাশিয়ান ফেডারেশনের অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারি না।'

আলোচনার টেবিলে যখন যুদ্ধ থামানোর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হবে তখনই কেবল আলোচনায় বসবেন বলেও নিশ্চিত করেন জেলেনস্কি।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারিতে রুশ হামলা পর বেশ কয়েকবার রাশিয়া ও ইউক্রেন বিচ্ছিন্ন আলোচনায় বসেছে, কিন্তু উভয় পক্ষ জানিয়েছে এ মুহূর্তে আলোচনা অচলাবস্থায় রয়েছে।

জেলেনস্কি গত সপ্তাহে ইউক্রেনের একটি টিভি চ্যানেলকে জানান, কূটনীতির ব্যবহার ছাড়া এ যুদ্ধ থামানো সম্ভব হবে না।

দাভোসে দেওয়া বক্তৃতায় জেলেনস্কি আরও জানান, এই যুদ্ধে ইউক্রেনের জনগণকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনী কিছু পরিমাণে সাফল্য লাভ করছে, বিশেষ করে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের কাছাকাছি এলাকাগুলোতে। তবে দনবাসে এখনো রক্তপাত ঘটছে এবং আমরা অনেক বেশি মানুষ হারাচ্ছি।

তিনি আরও জানান, ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রাশিয়ার দখলমুক্ত করার কোনো ধরনের প্রয়াস হাজারো মানুষের প্রাণহানির কারণ হতে পারে।

 

Comments