হিন্দু মহাজোট ভুল তথ্য দেওয়ায় হিন্দু আইন প্রণয়নে নাগরিক উদ্যোগের প্রতিবাদ
দেশে হিন্দু বাবা-মার সম্পত্তিতে সন্তানের সমঅধিকারের বিষয়ে আইন প্রণয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন ব্যক্তি ও সংগঠন নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছে হিন্দু আইন প্রণয়নে নাগরিক উদ্যোগ।
আজ সোমবার হিন্দু আইন প্রণয়নে নাগরিক উদ্যোগ কোয়ালিশন একটি বিবৃতিতে এ বিষয়ে তাদের ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, হিন্দু আইন প্রণয়নে নাগরিক উদ্যোগ কোয়ালিশন বাংলাদেশের হিন্দু নাগরিকদের তাদের বাবা-মার সম্পত্তিতে সমান অধিকারের জন্য একটি খসড়া হিন্দু উত্তরাধিকার আইন প্রণয়ন করেছে।
'আইন প্রণয়নের দাবি হিন্দু নাগরিকদের নিজস্ব একটি দাবি' উল্লেখ করে কোয়ালিশন জানায়, 'এটি প্রণয়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের হিন্দু নাগরিকরা যুক্ত আছেন। কেবল "মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন" এর সঙ্গে যুক্ত নয়। এর সঙ্গে যুক্ত আছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাষ্ট (ব্লাস্ট), প্রিপ ট্রাস্ট, নারীপক্ষ, আরডিআরএস ও বাঁচতে শেখা।'
'বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের এক সংবাদ সম্মেলনে এই আইন প্রণয়নের সঙ্গে দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক জনাব মাহফুজ আনামের নাম উল্লেখ করায় আমরা অত্যন্ত লজ্জিতবোধ করছি। কারণ, এই কোয়ালিশনের সঙ্গে তিনি কোনওভাবে যুক্ত নন এবং তার কোনো ধরণের সম্পৃক্ততা নেই,' এতে বলা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'এছাড়া শাহীন আনাম মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক, কিন্তু, তিনি আইন প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত নন। তাদের সম্পর্কে যে অপপ্রচার করা হচ্ছে সেজন্য হিন্দু নাগরিকদের পক্ষ থেকে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি এবং এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠানে হিন্দু নেতাদের হিন্দু উত্তরাধিকার আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছিলেন। এছাড়াও, তিনি ২০১৯ সালে জাতীয় আইন সহায়তা দিবসে নারী পুরুষের সমান উত্তরাধিকারের বিষয়টি উল্লেখ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় এই কোয়ালিশন হিন্দু নাগরিকদের তাদের বাবা-মার সম্পত্তিতে সমান অধিকারের লক্ষ্যে একটি খসড়া প্রণয়ন করেছে।
হিন্দু আইন প্রণয়নে নাগরিক উদ্যোগের পক্ষে এ বিবৃতিতে সই করেছেন সংসদ সদস্য এরোমা দত্ত, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নীনা গোস্বামী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান মহিলা ঐক্য পরিষদের দীপালী চক্রবর্তী, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের অ্যাডভোকেট রামলাল রাহা, মানবাধিকার কর্মী রীনা রায়, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের অর্পিতা দাস, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, নারীপক্ষের রীতা দাস রায়, আরডিআরএস ও বাঁচতে শেখার সাবরিনা সুলতানা, মানবাধিকার কর্মী কল্পনা বসু, শিক্ষক রুমা হালদার, উন্নয়ন কর্মী কৃষ্ণা চন্দ ও সঞ্চিতা তালুকদার।
Comments