স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত এলে চুপ করে থাকবো না

সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনি করে গড়ে তোলা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরীতা নয়—এই পররাষ্ট্রনীতি জাতির পিতা আমাদের দিয়ে গেছেন। আমরা সেই নীতিই মেনে চলি। আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ করবো না কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত এলে আমরা চুপ করে থাকবো না। সেটা নিশ্চয়ই আমরা প্রতিরোধ করবো বা প্রতিবাদ করবো। সেভাবেই আমরা আমাদের সশস্ত্রবাহিনীকে গড়ে তুলছি।
ফাইল ছবি

সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনি করে গড়ে তোলা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরীতা নয়—এই পররাষ্ট্রনীতি জাতির পিতা আমাদের দিয়ে গেছেন। আমরা সেই নীতিই মেনে চলি। আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ করবো না কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত এলে আমরা চুপ করে থাকবো না। সেটা নিশ্চয়ই আমরা প্রতিরোধ করবো বা প্রতিবাদ করবো। সেভাবেই আমরা আমাদের সশস্ত্রবাহিনীকে গড়ে তুলছি।

আজ বুধবার সকালে ঢাকার মিরপুরের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে 'ডিএসসিএসসি কোর্স ২০২১-২০২২' এর গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনিতে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সব সময় বিশ্বাস করি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং আন্তর্জাতিক আঞ্চলিক ঐক্য উন্নয়নে বাংলাদেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতাও আছে। সে সীমাবদ্ধতা সত্বেও আমরা সব সময়, যেখানেই বিপন্ন মানবতা তার ডাকে আমরা সাড়া দিয়েছি। সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। বিশেষ করে আমাদের দেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দান। সেই সঙ্গে সঙ্গে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করে যাচ্ছি, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনা করে যাচ্ছি যাতে তারা স্বদেশ ভূমিতে ফিরতে পারে।

আমাদের নীতিমালার কারণে বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে আমরা একটা সম্মানজনক অবস্থান সৃষ্টি করতে পেরেছি, বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্য আমি চাই, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হবে। আমি সবার পদবি পরিবর্তন করা থেকে শুরু করে অনেক কাজ করে দিয়েছি। যাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমান তালে আমাদের প্রতিটি সদস্য চলতে পারে সে ব্যবস্থাটাই করে দিয়েছি। 

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আজ সত্যিই জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, একদিন বিদেশি বন্ধুরা আমাদের একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিতে আসবে। আমাদের সামরিক বাহিনীর কমান্ডো স্টাফ কলেজ আজ জাতীয় সীমারেখা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও এক অনন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

এক সময় বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশে অনেক নেতিবাচক কথা ছিল। এখনো কিছু কিছু লোক আছে বাংলাদেশ সম্পর্কে বদনাম করতেই বেশি পছন্দ করে। কিন্তু আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ফলে এবং আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষা ও দেশের ভেতরে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনে আমরা যে দক্ষতা দেখিয়েছি, তার পরে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিশ্বে উজ্জ্বল হয়েছে। ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে জয় লাভ করার পর যে সম্মান আমরা আন্তর্জাতিকভাবে পেয়েছিলাম, ৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর যে সম্মান আমরা হারিয়েছিলাম, আজ আবার আমরা সে সম্মান পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। এখন আর বাংলাদেশকে কেউ অবহেলা করতে পারে না। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্ব দরবারে মর্যাদা পেয়েছে। এই মর্যাদা ধরে রাখতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত বাংলাদেশ গড়তে চাই, বলেন শেখ হাসিনা।

Comments

The Daily Star  | English

Sajek accident: Death toll rises to 9

The death toll in the truck accident in Rangamati's Sajek increased to nine tonight

3h ago