সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের আন্দোলনে চট্টগ্রাম কাস্টমসের শুল্কায়ন বন্ধ
ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্টদের আন্দোলনের কারণে চট্টগ্রাম কাস্টমসের শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে।
আজ বুধবার সকাল ৯টা থেকে চট্টগ্রাম কাস্টমসের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা। এরপর থেকে তারা কাস্টমসের ভেতর কাউকে ঢুকতে দিচ্ছেন না।
আগে ব্যবসায়ীদের যোগ্যতার সব শর্ত পূরণ করার পর সরাসরি কাস্টমস হাউসে পরীক্ষা দিয়ে নতুন লাইসেন্স নিতে হতো। কিন্তু এখন লাইসেন্সধারী সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের মালিকানা পরিবর্তন, অর্থাৎ নতুন মালিক ও উত্তরসূরি হতে চাইলে পরীক্ষা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ কারণেই মূলত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা আন্দোলনে নেমেছেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের উত্তরাধিকারীদের পরীক্ষা না নিয়েই আগের মতো লাইসেন্স দিতে হবে। অন্যথায় আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।'
তবে কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের এই দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন রিজভী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা এনআইডি, ছবি, মূসক সনদসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জমা না দেওয়ায় মোট ৩ হাজার ৩২টি লাইসেন্সের মধ্যে আমরা ৬৭টি লাইসেন্স নবায়ন করিনি।'
'তাছাড়া পরীক্ষা ছাড়া লাইসেন্স হস্তান্তরযোগ্য নয়। পরীক্ষা দিয়ে পাস করলেই কেবল তাদের লাইসেন্স দেওয়া হবে', যোগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম কাস্টমসে প্রতিদিন প্রায় ৬ হাজার চালান শুল্কায়ন হয়। এতে রাজস্ব আসে প্রায় ২০০-২৫০ কোটি টাকা।
Comments