রাজস্ব বকেয়া ১০ কোটি টাকা: ২৫ ফল আমদানিকারকের লাইসেন্স স্থগিত
বকেয়া ১০ কোটি টাকার রাজস্ব পরিশোধ না করায় ২৫টি ফল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করেছে বেনাপোল কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ। ফলে দেশের বন্দর ও শুল্ক স্টেশনগুলোতে তাদের পণ্য আটকা পড়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে বেনাপোল কাস্টমস সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ইতোমধ্যে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে ভারত থেকে আমদানি করা আটটি ট্রাকে থাকা খেজুর, টমেটো, আনারসহ নানা ধরনের ফল আটকা পড়েছে।
তিনি আরও জানান, এসব পণ্যের আমদানিকারকরা বকেয়া রাজস্ব পরিশোধ না করায় আমদানি লাইসেন্স এবং তাদের সিএন্ডএফ এজেন্টের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের 'এআইএন' লক করা হয়েছে।
তাদের সব আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমও স্থগিত করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: বিকে ট্রেডার্স, খান এন্টারপ্রাইজ, জাহান ট্রেডিং, মাসুম এন্টারপ্রাইজ, মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজ, প্রমি এন্টারপ্রাইজ, রাহা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, এ্যানি এন্টারপ্রাইজ, দাসবেদাস এন্টারপ্রাইজ, ফরিদা এন্টারপ্রাইজ, কেপি এন্টারপ্রাইজ, এনপি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, পিএইচকে ট্রেডার্স, ঊষা ট্রেডিং, কে হাসান ট্রেডিং, সিদ্ধার্থ এন্টারপ্রাইজ, আল্লাহর দান ফল ভাণ্ডার, করবো এন্টারপ্রাইজ, আরআর ব্রাদার্স, রিফাত এন্টারপ্রাইজ, সোনালী ট্রেড, উড এ্যাপেল, আরতি ইনটেক্স, এ আর ট্রেডার্স ও পারভেজ ট্রেডিং।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই ২৫টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের কাছে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষের বকেয়া রয়েছে ১০ কোটি টাকা। তারা গত চার বছর ধরে এই টাকা পরিশোধ করছে না। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গতকাল থেকে ২৫টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ও কার্যক্রম স্থগিত করে রেখেছে।'
'বকেয়া পাওনা টাকার বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এসব আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান দেশের কোনো বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি করতে পারবে না' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'এসব পণ্য নষ্ট হওয়ার আগেই নিষ্পত্তি না হলে আইন অনুযায়ী নিলামে বিক্রি করে দেওয়া হবে।'
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সিএন্ডএফ এজেন্ট রয়েল এন্টারপ্রাইজের মালিক রফিকুল ইসলাম রয়েল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমদানিকারকদের কাছে পাওনা টাকা দীর্ঘদিনের। ইতোমধ্যে কয়েকজন আমদানিকারক বকেয়া টাকা আংশিক পরিশোধ করেছেন।'
Comments