সেই তাহের পুত্র টিপুর বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের পেটানোর অভিযোগ
লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের অন্তঃকোন্দল থেকে মারামারি হয়েছে। জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে আজ মঙ্গলবার দুপুরে বাঘবাড়ী গণকবর ও জেলেপল্লী এলাকার সড়কে সংঘর্ষ হয়। জেলা যুবলীগের সভাপতি এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু ও তার অনুসারীদের হামলায় ১০ জন আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
যুবলীগ নেতা সালাহ উদ্দিন টিপু লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের আলোচিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের ছেলে।
আবু তাহের ও তার পরিবারের সদস্যদের নানা কর্মকাণ্ডের কারণে সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে পুরো লক্ষ্মীপুর জেলা কুখ্যাতি পেয়েছিল। ২০০১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতার পরিবর্তনের পর তাহের, তার স্ত্রী ও এক ছেলে খুনসহ বিভিন্ন মামলায় কারাগারে ছিলেন। পরে জামিনে মুক্তি পান। ২০০৭-০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তারা পলাতক ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসার পর তাহের পরিবার লক্ষ্মীপুরে ফিরে আসে। আবু তাহের আওয়ামী লীগের সমর্থনে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।
আজ যুবলীগের বর্ধিত সভায় যোগ দিতে আসা কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগত জানাতে রাস্তায় ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন যুবলীগের পদ প্রত্যাশী ইউনুছ হাওলাদার রুপম ও তার অনুসারীরা। তাদের অভিযোগ, টিপু ও তার অনুসারীরা এসময় তাদের ওপর হামলা চালায়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সালাহ উদ্দিন টিপু বলেন, রুপম তার লোকজন নিয়ে সড়ক অবরোধ করায় তাদেরকে সরে যেতে বলা হয়েছিল। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। কাউকে মারধর করা হয়নি।
রুপম বলেন, তাহের পুত্র টিপুর নেতৃত্বে আমাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা হয়। টিপু আমাকেও লাঠিপেটা করেন।
লক্ষ্মীপুর মডেল থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের শুভেচ্ছা জানাতে রুপম তার লোকজন নিয়ে সড়ক অবরোধ করলে উপজেলা চেয়ারম্যান তাদেরকে সরে যেতে বললে বাগবিতণ্ডা হয়। আমি মারধরের বিষয়টি জানি না।
২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর টিপুকে সভাপতি ও আবদুল্লাহ আল নোমানকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩ বছরের জন্য লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটির মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেও তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেননি।
Comments