যে মানবাধিকার হরণ করছে, তার মানবাধিকারটা কি বেশি গুরুত্বপূর্ণ?

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে নিষেধাজ্ঞার দেওয়া হয়েছে তার পেছনে ‘কিন্তু’ আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
hachan_mahmud.jpg
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে নিষেধাজ্ঞার দেওয়া হয়েছে তার পেছনে 'কিন্তু' আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা র‌্যাবের ভূমিকা নিয়ে কথা বলছেন, তারা আসলে চান এখানে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্য হোক এবং মাদক আরও ছড়িয়ে পড়ুক। অন্যথায় তারা ঢালাওভাবে কথা বলতে পারে না। র‌্যাবের কোনো সদস্য যদি ভুল করে, তাদের বিচার হয়েছে এবং বিচার হয়। যে কেউ ভুল করতে পারে। তাদেরও বিচার হয়, তদন্ত হয় এবং তাদের শাস্তিও দেওয়া হয়। র‌্যাবকে অব্যাহতভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমের অনকে দেশ কারিগরি সহায়তা দিয়েছে। তারা যখন সহায়তা দিয়েছে, র‌্যাব তো তখন থেকে কাজ করছে। সহায়তা দেওয়ার সময় এই প্রসঙ্গগুলো আসেনি, হঠাৎ এখন কেন আসছে! এটার পেছনে নিশ্চয়ই 'কিন্তু' আছে।

এতদিন ধরে আপনারা সহায়তা করলেন, ২০০৪ সালে বিএনপি র‌্যাব প্রতিষ্ঠা করেছিল। বেগম খালেদা জিয়া র‌্যাব প্রতিষ্ঠা করেছে। তখন থেকে র‌্যাব কাজ করে আসছে। এত দিন কোনো কথা হলো না, হঠাৎ র‌্যাব নিয়ে এত কথার কারণ কী? যখন কোনো দেশ এগিয়ে যেতে থাকে আন্তর্জাতিক শক্তি সে দেশের পা টেনে ধরতে চায়। সে দেশের পা টেনে ধরার জন্য সে দেশের মানবাধিকার; এসব বিষয়কে সামনে নিয়ে আসে। অথচ তাদের দেশে মানবাধিকারের কোনো খবর নেই। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে মৃত্যুবরণ করে। সেখানে প্রচুর মানুষ নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিখোঁজ হয়। খোঁজ-খবর পাওয়া যায় না। সেগুলো নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো কখনো বিবৃতি দেয় না, বলেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সরকার ন্যায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য বদ্ধপরিকর। র‌্যাবের হাতে যারা মৃত্যুবরণ করেছে বলা হচ্ছে, সেখানে অনেকেই দেখা গেছে আওয়ামী লীগ ঘরানার মানুষ। এনকাউন্টারের পরিসংখ্যান দেখুন, সেখানে অনেকে আওয়ামী লীগ ঘরানার মানুষ এবং তারা সন্ত্রাসী, জঙ্গি। সন্ত্রাসী-জঙ্গি যারা সমাজকে অস্থিতিশীল করছে, অপরের মানবাধিকার হরণ করছে, তার মানবাধিকারটা কি বেশি গুরুত্বপূর্ণ নাকি যারা পুরো দেশে মানবাধিকার, মানুষের অধিকার হরণ করছে, মানুষের ওপর নির্যাতন করছে এবং জঙ্গিবাদের কারণে সমাজে অস্থিতিশীলতা তৈরি হচ্ছে, মাদক ছড়িয়ে পড়ছে যাদের মাধ্যমে তাদের রক্ষা করা প্রয়োজন নাকি সমাজকে রক্ষা করা বেশি দরকার সেই প্রশ্ন আসে।

Comments

The Daily Star  | English

Secondary schools, colleges to open from Sunday amid heatwave

The government today decided to reopen secondary schools, colleges, madrasas, and technical education institutions and asked the authorities concerned to resume regular classes and activities in those institutes from Sunday amid the ongoing heatwave

41m ago