যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র সম্মেলন নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে সংসদে সমালোচনা

বিশ্বের দুর্বল গণতন্ত্রের দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের গণতান্ত্রিক সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছে—পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের এমন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করছেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা।
জাতীয় সংসদের অধিবেশনের ফাইল ছবি

বিশ্বের দুর্বল গণতন্ত্রের দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের গণতান্ত্রিক সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছে—পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের এমন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করছেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা।

তারা বলছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্য দায়িত্বশীলতার পরিচয় নয়। তার বক্তব্য গণতন্ত্র নিয়ে বিশ্বের জন্য নতুন পাঠ্য বিষয় হতে পারে।

আজ জাতীয় সংসদে টেরিটোরিয়াল ওয়াটার অ্যান্ড মেরিটাইম বিল-২০২১ এর উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এসব কথা বলেন। এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিলটি উত্থাপন করেন।

গণতান্ত্রিক দেশগুলোকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আয়োজিত সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, 'যেসব দেশ গণতন্ত্রের দিক থেকে দুর্বল, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো তাদের ডাক দিয়েছে। তারা দুই পর্বে করবে বলেছে। প্রথমে কয়েকটি দেশ যারা গণতান্ত্রিক দিক থেকে খুবই দুর্বল তাদের নিয়ে। আমাদের বাদ দিয়েছে সেটা আমি বলি না। হয়তো পরে তারা আমাদের বলবে।'

বিএনপির রুমিন ফারহানা বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যাখ্যা হচ্ছে আমেরিকার গণতন্ত্রের সম্মেলনে দুর্বল গণতন্ত্রের দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমরা এতদিন জানতাম পৃথিবীর সবচেয়ে উদার গণতান্ত্রিক দেশের তালিকা করলে পশ্চিম ইউরোপ ও স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলো থাকবে। এখন আমরা বুঝলাম তাদের দেশের গণতন্ত্র দুর্বল। কারণ এরা সম্মেলনে আমন্ত্রিত হয়েছে। ঠিক যেভাবে আমন্ত্রিত হয়েছে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও জাপান। এ দেশগুলোকে উন্নত গণতন্ত্রের দেশ হিসাবে জানি।

তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যাখ্যা অনুযায়ী গণতান্ত্রিক সম্মেলনে দাওয়াত না পাওয়া যদি শক্তিশালী গণতন্ত্রের লিটমাস টেস্ট হয় তাহলে বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী গণতন্ত্রের দেশের উদাহরণ হচ্ছে মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, তুর্কমেনিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার অন্যান্য দেশ। চীন, উগান্ডা, রুয়ান্ডা, সোমালিয়া, কঙ্গোসহ আফ্রিকার প্রায় সকল দেশ। গণতন্ত্র নিয়ে সারাবিশ্বের সম্ভবত আবার নতুন করে পাঠ করার সময় এসেছে।

রুমিন ফারহানা বলেন, রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্বকারী একজন পররাষ্ট্র মন্ত্রী যখন এমন দাবি করেন, তখন আমাদের সম্পর্কে খুব একটা ভালো ধারণা হয় না।

বিএনপির মোশারফ হোসেন বলেন, আমেরিকার এই গণতন্ত্রের সম্মেলনে যদি বাংলাদেশ স্থান পেতো, ভারত না পেতো তখন আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলতেন ভারতের চেয়েও আমাদের গণতন্ত্র শক্তিশালী।

Comments

The Daily Star  | English
books on Bangladesh Liberation War

The war that we need to know so much more about

Our Liberation War is something we are proud to talk about, read about, and reminisce about but have not done much research on.

12h ago