তারেক জিয়া দুর্নীতিতে অনার্স ও মানি লন্ডারিংয়ে মাস্টার্স: পানিসম্পদ উপমন্ত্রী

তারেক জিয়া দুর্নীতিতে অনার্স ও মানি লন্ডারিংয়ে মাস্টার্স বলে মন্তব্য করেছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম।
পদ্মা নদীর বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন/স্টার

তারেক জিয়া দুর্নীতিতে অনার্স ও মানি লন্ডারিংয়ে মাস্টার্স বলে মন্তব্য করেছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম।

আজ বুধবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের গাওদিয়া ইউনিয়নে পদ্মা নদীর বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

এ সময় এনামুল হক শামীম বলেন, 'বিএনপির অবস্থা ফিটনেসবিহীন গাড়ির মতো। মাওয়া সড়কে যেমন ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলবে না, কয়েকদিন পর বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে রাজনীতি করতে দেবে না। কারণ, তারা ক্ষমতায় গেলে হাওয়া ভবন সৃষ্টি করে।'

তিনি বলেন, 'সারাদেশের মানুষ শ্লোগান দেয়, "মা পুতে মিল্লা, দেশটারে খাইলো গিল্লা"। এতিমের টাকা খেয়ে খালেদা জিয়া জেলে যান আর তার ছেলে তারেক রহমান দুর্নীতির বরপুত্র। শিক্ষাগত যোগ্যতা নাই। মানুষ বলে তারেক দুর্নীতিতে অনার্স ও মানি লন্ডারিংয়ে মাস্টার্স। এ হচ্ছে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা।'

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, 'মির্জা ফখরুল সাহেব বড় বড় কথা বলেন। ঢাকা শহরে বড় একটি মিছিল করতে পারেন নাই। আপনারা নাকি আন্দোলন করে আওয়ামী লীগকে নামিয়ে ফেলবেন। আন্দোলন করে আওয়ামী লীগকে নামানো যাবে না। আন্দোলন কাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি এটি একমাত্র আওয়ামী লীগ জানে। আর অন্য কোনো রাজনৈতিক দল জানে না।'

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে শামুরবাড়ি এলাকায় জিও ব্যাগ নদীতে ফেলে তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।

এ সময় মুন্সিগঞ্জ ২ আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, লৌহজং উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ওসমান গনি তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকল্পের কাজ ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে শুরু হয়ে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শেষ হওয়ার কথা। ইতোমধ্যে ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

প্রকল্পের ১ হাজার ২০ মিটার চর অপসারণের কাজটি বর্ষা মৌসুম শেষে শুরু হবে।

পদ্মা সেতু এলাকায় ভাঙন রোধ ও সরকারি-বেসরকারি সম্পদ রক্ষার উদ্দেশ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

৪৪ হাজার ৬১১ দশমিক ৬০ লাখ টাকার এ প্রকল্পে লৌহজং উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৭টি গ্রাম ও টংগিবাড়ী উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ৪টি গ্রামের ৯ হাজার ১০০ মিটার নদী তীরবর্তী এলাকায় বাঁধের কাজ হবে। 

Comments