জাপা মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু মারা গেছেন
জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু আজ শনিবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
করোনায় আক্রান্ত বাবলু বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। সেখানেই আজ সকাল ৯টা ১২ মিনিটে তিনি মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির নেতারা।
আজ বাদ এশা গুলশান আজাদ মসজিদে জানাজার নামাজের পর তার মরদেহ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে দাফন করা হবে। এর আগে দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত কাকরাইলে জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে রাখা হবে তার মরদেহ।
২০১৪ সালে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বাবলু। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের শাসনামলে ১৯৮৮ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত তিনি জ্বালানি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৩ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত তিনি মন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। তিনি নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্টসে স্নাতক ও ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর এবং পরবর্তীতে একই প্রতিষ্ঠান থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় বাবলু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগীয় সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৩ পর্যন্ত তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য এবং ১৯৮১ থেকে ১৯৮৩ পর্যন্ত তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। সেই সময় তিনি ডাকসু'র সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদের সখ্যতা ভালো বলে বিবেচনা করা হতো। তবে, সম্প্রতি তাকে ক্ষমতাসীন দলটির নিপীড়ন, আইনের শাসনের অনুপস্থিতি ও সুশাসনের অভাবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা যায়।
২০২০ সালে জাতীয় পার্টির মহাসচিব পদ থেকে মশিউর রহমান রাঙ্গাকে সরিয়ে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
বাবলুর প্রথম স্ত্রী ফরিদা সরকার ২০০৫ সালে ক্যান্সারে মারা যান। তাদের এক ছেলে রয়েছেন। ২০১৭ সালে এপ্রিলে বাবলু বিয়ে করেন এইচএম এরশাদের আত্মীয় ডা. মেহে জেবুন্নেসা রহমানকে।
Comments