গোটা দেশ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজ গোটা দেশ বিএনপি এবং আমাদের সমস্ত অঙ্গসংগঠনের দিকে তাকিয়ে আছে। এই সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার যে আন্দোলন সেই প্রস্তুতি নিতে হবে।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্টার ফাইল ছবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'আজ গোটা দেশ বিএনপি এবং আমাদের সমস্ত অঙ্গসংগঠনের দিকে তাকিয়ে আছে। এই সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার যে আন্দোলন সেই প্রস্তুতি নিতে হবে।'

আজ রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী উলামা দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই কথা বলেন।

আন্দোলনের জন্য বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, সংগঠনকে শক্তিশালী করা।

সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, 'আপনারা একটা নির্বাচন কমিশন করেছেন যে নির্বাচন কমিশন আপনাদের হুকুমে চলে, আপনাদের বংশবদ। আর একটা নির্বাচন করবেন যে নির্বাচনে ভোটাররা যাবে না, ইভিএম মেশিন দিয়ে ভোট দিয়ে দেবেন। সেই ধরনের নির্বাচন এদেশের মানুষ আর করতে দেবে না।'

'আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, এদেশের মানুষ কখনোই এই নির্বাচন নির্বাচন খেলা হতে দেবে না। তারা সত্যিকার অর্থে নির্বাচন চায়। আমরা অবশ্যই নির্বাচন চাই। নির্বাচন করেই আমরা মানুষের, জনগণের ভালোবাসা নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে যেতে চাই।'

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, 'সংগঠিত হন, সংগঠনকে শক্তিশালী করেন। নেতৃবৃন্দকে অুনরোধ করব—আপনারা গোটা বাংলাদেশ সফর করেন। প্রয়োজন আছে। তাহলে তারা উজ্জীবিত হবে এবং সংগঠন শক্তিশালী হবে।'

'আজকে এই সরকার যাদের হাতে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিরাপদ নয়, যাদের হাতে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই, যেখানে গণতন্ত্র নেই, যেখানে মানুষের জীবিকার নিরাপত্তা নেই। এই সরকার অবশ্যই আমাদেরকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।'

'সরকার জনগণের শত্রু'

মির্জা ফখরুল বলেন, 'আপনারা কয়েকদিন ধরে দেখেছে, ই-কমার্স বাণিজ্য। শুধু ই-ভ্যালি নয়, প্রায় ১১/১২টার মতো প্রতিষ্ঠান মানুষের কাছে থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে নিয়েছে। সরকার আগে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি।'

'আজকে দেশে গণতন্ত্র নেই, নির্বাচন হয় নেই। দুর্নীতির কোনো জবাবদিহিতা নেই। যে যেখানে যেমন খুশি চুরি করছে, ডাকাতি করছে তার কোনো জবাবদিহিতা নেই। আইনশৃঙ্খলা বলতে কিচ্ছু নেই। গুমের সংস্কৃতি তারা চালু করেছে। এই যে রাষ্ট্র তারা তৈরি করেছে এই রাষ্ট্র আমাদের রাষ্ট্র নয়। এই রাষ্ট্র কখনই আমরা চাইনি। আওয়ামী লীগ সেজন্য আজকে বড় শত্রুতে পরিণত হয়েছে।'

হেফাজতে ইসলামসহ আলেম-উলামা এবং ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ওপর সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতনের সমালোচনা করেন বিএনপি মহাসচিব।

উলামা দলের আহবায়ক মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হকের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাওলানা নজরুল ইসলাম তালুকদারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, উলামা দলের মাওলানা সেলিম রেজা, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা মশিউর রহমান, মাওলানা আবুল হোসেন, মাওলানা আলমগীর হোসেন, মাওলানা আলমগীর হোসেন খলিলী, মাওলানা শামসুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

Comments

The Daily Star  | English

Our civil society needs to do more to challenge power structures

Over the last year, human rights defenders, demonstrators, and dissenters have been met with harassment, physical aggression, detainment, and maltreatment by the authorities.

7h ago