কাদের মির্জাকে বহিষ্কারের দাবিতে কোম্পানীগঞ্জের দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার শাস্তি ও দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার লাগানো হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে উপজেলার চাপরাশিরহাট, নতুন বাজার, বামনী বাজার, পেশকারহাটসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে হামলার শিকার হয়ে নিহত এবং আহতদের পরিবারের ব্যানারে এসব পোস্টার লাগানো হয়। তবে, কাদের মির্জার অনুসারীরা সেগুলো অপসারণ করেছেন।
এসব পোস্টারে লেখা হয়েছে, 'গত ৭ মাসে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আ. কা. মির্জার (আবদুল কাদের মির্জা) রাক্ষুসে থাবায় নিহত এবং আহতদের ছবি। আ.কা. মির্জার শাস্তি ও দল থেকে বহিষ্কারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি। প্রচারে- আ. কা মির্জার নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার শিকার হয়ে নিহত এবং আহতদের পরিবার।'
তবে, কে বা কারা এ ধরনের পোস্টার লাগিয়েছে তা জানা যায়নি।
আজ সোমবার দুপুরে কাদের মির্জা ঘোষিত কমিটির কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ. লীগের সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুছ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ ধরনের পোস্টারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'সর্বজন শ্রদ্ধেয় বসুরহাট পৌরসভার সুনামধন্য মেয়র আবদুল কাদের মির্জা সাহেবকে ব্যঙ্গ করে কতিপয় সন্ত্রাসী অপরাজনীতির হোতারা বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগিয়ে মেয়রের সম্মান হানি ঘটায়।'
এ বিষয়ে জানতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে সোমবার সন্ধ্যায় একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
তবে, কাদের মির্জার ব্যক্তিগত সহকারী ও পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হামিদ পোস্টারের বিষয়টি নিশ্চিত করে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ মিজানুর রহমান বাদল, মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু ও খিজির হায়াত খান কাদের মির্জার সম্মান ক্ষুণ্ণ করতে এসব ষড়যন্ত্র করছে। বসুরহাট পৌরসভা ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কয়েক হাজার পোস্টার লাগানো হয়েছে।'
কাদের মির্জা ঘোষিত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ. লীগের সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল বলেন, 'বিভিন্ন জায়গায় কাদের মির্জার বিরুদ্ধে পোস্টারিং করা হয়েছে এটি সত্য। কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ বাদল এ কাজ করেছে।'
কিন্তু, তাদের এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ. লীগের আরেক পক্ষের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল।
আজ সন্ধ্যায় মুঠোফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে মিজানুর রহমান বাদল বলেন, 'আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।'
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ. লীগের মুখপাত্র ও কাদের মির্জার ভাগ্নে মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু বলেন, 'কাদের মির্জা ও তার সমর্থকদের গুলি ও হামলায় আহত ও নিহতদের পরিবারের পক্ষে পোস্টার লাগানো হয়েছে। তবে, কাদের মির্জার অনুসারীরা সে পোস্টার অপসারণ করেছে।'
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, 'বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে কাদের মির্জার পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।'
Comments