কাটাখালীর মেয়র আব্বাসকে জেলা আ. লীগ থেকে অব্যাহতি
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য পদ থেকে কাটাখালী পৌর মেয়র আব্বাস আলীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিতে সুপারিশ করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল সরকারের সভাপতিত্বে জেলার সব নেতাদের সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়।
আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। গত ২৪ নভেম্বর তাকে পবা পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
আজ বিকেলে ফেসবুক লাইভে আব্বাস আলী দাবি করেন, তিনি একটি মাদ্রাসার কর্তাব্যক্তির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মন্তব্যগুলো করেছেন।
তবে গত মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছিলেন, অডিও ক্লিপটি সম্পাদনা করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে প্রকাশ করা হয়েছিল।
লাইভে আব্বাস বলেন, যে অডিও ক্লিপটির কারণে তিনি সমালোচিত হচ্ছেন সেটি অন্তত ৩ মাস আগের। তিনি নিজে সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণের প্রস্তাব দেন। পরবর্তীতে তিনি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় গেলে সেই মাদ্রাসার 'বড় হুজুর' তাকে প্রভাবিত করেন।
তিনি মাদ্রাসা ও মাদ্রাসার সেই কর্তাব্যক্তির নাম উল্লেখ করে বলেন, 'আমি তো একটা মানুষ এবং একজন মুসলমান। তাই তার কথা শুনে আমি দুর্বল হয়েছি।'
তিনি বলেন, মাদ্রাসার বড় হুজুরের সঙ্গে সাক্ষাতের ৩ দিন পর এক সামাজিক আড্ডায় থেকে ওই অডিও ক্লিপটি ধারণ করা হয়।
আব্বাস দাবি করেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তিনি কোনো কটুক্তি করেননি, শুধু মাদ্রাসার সেই কর্তাব্যাক্তির করা ধর্মীয় ব্যাখ্যার কথা বলেছেন।
Comments