এরা পুরোপুরিভাবে একটা লুটেরা সমাজ তৈরি করছে: ফখরুল

সরকারের লুটেরা অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় মানুষ হতাশার চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্টার ফাইল ছবি

সরকারের লুটেরা অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় মানুষ হতাশার চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

গত সোমবার একজন রাইড শেয়ারের চালকের বাইক পুড়িয়ে ফেলার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে আজ বিকেলে এক দলীয় সভায় ফখরুল এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, 'এরা (সরকার) অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, এরা একটা লুটেরা অর্থনীতি তৈরি করেছে, লুটেরা সমাজ তৈরি করছে। এই করোনার কারণে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা এতো খারাপ হয়েছে যে, গতকাল একজন যুবক তার মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে। কেন পুড়িয়েছে?'

'সে বলছে যে, আমি একটা সিরামিক পণ্যের দোকান করতাম। সেটা করোনার কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমি আমার সঞ্চিত অর্থ দিয়ে একটা মোটর সাইকেল কিনে রাইড রাইড শেয়ারিং করার চেষ্টা করছি। সেখানে আমাকে পদে পদে বাধা দেওয়া হচ্ছে যে আপনার অমুক সার্টিফিকেট লাগবে, অমুক সার্টিফিকেট লাগবে। তার চাইতে পুড়িয়ে ফেলি। এটা কখন হয়? যখন হতাশার চরম পর্যায় পৌঁছায় মানুষ। আজকে সেই অবস্থায় গিয়ে আমরা পৌঁছেছি।'

মির্জা ফখরুল বলেন, 'এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধের লক্ষ্য বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা এবং একই সঙ্গে এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখা যেটা আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মূল কথা ছিল সেটা আমাদের প্রতিষ্ঠা করতে হবে।'

'এগুলোর জন্য আমাদেরকে সংগ্রাম করতে হবে, লড়াই করতে হবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এই লড়াইয়ে সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। আমাদের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের লক্ষ্য এই হওয়া উচিত যাতে করে আমরা সেদিকে যেতে পারি।'

আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, 'আমাদেরকে সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।'

ফখরুল বলেন, 'আমাদের যে স্বপ্ন ছিল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সেটাকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন বহুদলীয় গণতন্ত্র নেই, একটা মুখোশ আছে, একটা আবরণ আছে গণতন্ত্রের। সেই আবরণের মধ্যে পুরোপুরি একদলীয় ব্যবস্থা চলছে। এখানে একটা ভয়ভীতির সংস্কৃতি এমনভাবে তৈরি হয়েছে যে, যেকেউ এখন কথা বলতে ভয় পায়, লিখতে ভয় পায়, সাংবাদিকরা লিখতে ভয় পায়।'

গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটি ও বিষয় ভিত্তিক কমিটির এই সভা হয়।

জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব আবদুস সালামের সঞ্চালনায় সভায় নেতৃবৃন্দ স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তীর বছরব্যাপী কর্মসূচি পুনরায় শুরুর বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

এই সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আামান, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, ইসমাইল জবিহউল্লাহ, ফরহাদ হালিম ডোনার, বিজন কান্তি সরকার, অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, আবদুল হাই শিকদার, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শ্যামা ওবায়েদ, অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল জয়নাল আবেদীন, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, আশরাফউদ্দিন উজ্জ্বল, আমিনুল হক, জহিরউদ্দিন স্বপন, মনীষ দেওয়ান, মার্শেল এম চিরমা, অধ্যাপক হারুন আল রশিদ, চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের এবিএম আবদুর সাত্তার, রিয়াজউদ্দিন নসু ও প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English
Cuet students block Kaptai road

Cuet closes as protest continues over students' death

The Chittagong University of Engineering and Technology (Cuet) authorities today announced the closure of the institution after failing to pacify the ongoing student protest over the death of two students in a road accident

1h ago