ইউপি নির্বাচন: হাতিয়ায় ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ১০
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার দিবগত রাত সাড়ে ১২টায় হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, উপজেলার বুড়ির চর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়র্ডের কালির চর গ্রামের ইব্রাহীম মার্কেটের পাশে শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সংঘর্ষ হয়। আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থী জিয়া আলী মোবারক কল্লোল ও বিদ্রোহী প্রার্থী ফখরুল ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। ওই ঘটনার পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
তারা আরও জানান, সংঘর্ষে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে আব্দুর রহমান (২৪), জহির উদ্দিন বাবর (৪০), আনোয়ার হোসেন (২৩), শাহাব উদ্দিন (৩০), জাফর ইকবাল সজীব (৩৫) ও আমির হামজা (৪০) আহত হয়েছেন। কল্লোলের সমর্থকদের মধ্যে মো. ইব্রাহিম (৩২), সাইফুল (৩৫), রুবেল (২৭) ও মহিউদ্দিন (৩৫) আহত হন। এদের মধ্যে আব্দুর রহমান, বাবর ও ইব্রাহীমের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজন। আহত ১০ জনকে উদ্ধার করে প্রথমে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফখরুল ইসলাম বলেন, শনিবার ছিল নির্বচনী প্রচারণার শেষ দিন। বিকেলে আমার কর্মী-সমর্থকরা ইব্রাহীম মার্কেট এলাকায় পথ সভায় যোগ দেওয়ার জন্য অপেক্ষ করছিল। সে সময় নৌকার প্রার্থী কল্লোল শতাধিক লোকজন নিয়ে হামলা চালায়। তারা চাইনিজ কুড়াল ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ৬ জনকে আহত করে।
তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে আমি বিজয়ী হবো। আমার সমর্থন দেখে নৌকার প্রার্থীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তাই নির্বাচন বানচাল করতেই এই পরিকল্পিত হামলা।
এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কল্লোল। তিনি পাল্টা অভিযোগ তুলে জানান, ফখরুলের সহযোগীরা তার ৩ কর্মীকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে মারধর করে। সেই তথ্য পেয়ে তিনি কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে ফখরুলের সমর্থকরা আবারও হামলা চালায়।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫ থেকে ৬ জন আহত হয়েছেন। কোনো পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। পুলিশ তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
Comments