বগুড়ায় নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা আ. লীগ প্রার্থীর
রাত পোহালে অনুষ্ঠিত হবে বগুড়ার ৩টি উপজেলায় ২৭টি ইউনিয়ন পরিষদের ভোট গ্রহণ। কিন্তু, তার আগেই বগুড়া সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলিম উদ্দিন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
নৌকার প্রার্থী আলিম উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি মনের দুঃখে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বদরুল আলমের নেতা-কর্মীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে নির্বাচনের আগেই ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি। নিজের পরিবার এবং কর্মীদের বাঁচাতেই ভোট বর্জন করছি।'
'বিদ্রোহী প্রার্থীর অত্যাচারে আমি নিরুপায় হয়ে গেছি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অস্ত্র মামলা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সেই মামলা নিয়েছে,' বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, 'গত শুক্রবার মধ্যে রাতে বদরুল আলমের নেতা-কর্মীরা আমার ৪ ভাইসহ ৭ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে। আমার চার ভাই এখন হাসপাতালে। বদরুলের লোকজন আমার লোকের ওপরে অত্যাচার করছে। আমার এক কর্মীর গরু চুরি করে জবাই করে খেয়েছে। মধ্যে রাতে আমার আরেক কর্মীর দোকান-পাট লুট করেছে। আমি থানায় মামলা দিয়েছি। কিন্তু, প্রশাসন আসামি ধরছে না। আমি অসহায় হয়ে পড়েছি। এ কারণে আজ আমি আমার নেতা-কর্মীদের বলেছি, আমি আর ভোট করছি না।'
আলিম উদ্দিন বর্তমান নুনগোলা ইউপির চেয়ারম্যান এবং সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
তবে, আ. লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বদরুল আলমের এসব অভিযোগের বিষয়ে বলেন, 'আলিম উদ্দিনের কোনো জনসমর্থন নেই। তিনি টাকা দিয়ে নমিনেশন কিনেছেন। তিনি বিএনপি প্রার্থীর অটোরিকশা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য তার সমর্থকদের বলেছেন। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তিনি করেছেন তা সত্য নয়।'
বিএনপি নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থনেরে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আমিল উদ্দিন বিষয়টি অস্বীকার করেন।
বিষয়টি জানতে বিএনপি নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রশিদ বজলুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি শুনেছি আলিম ভাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তাই শনিবার বিকেলে তার অফিসে গিয়ে পরামর্শ চেয়েছি। তিনি আমাকে পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু, সমর্থন করেন ন।'
এ বিষয়ে বগুড়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং বগুড়া সদর আ. লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান শফিক বলেন, 'আলিম উদ্দিনের অভিযোগ অনেকটাই সঠিক। এই নির্বাচনে পুলিশ আমাদের কোনো আইনি সহায়তা দিচ্ছেন না। আমরা আইনের আশ্রয় নিতে চাইলেও সেটা পাচ্ছি না। তবে, জেলা আ. লীগ নেতারা আলিম উদ্দিনকে সহযোগিতা করছে কিনা এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।'
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, 'পুলিশ কাউকে অধিক সহযোগিতা করছে না। পুলিশ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে। আলিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে কোনো অস্ত্র মামলা হয়নি। তার এক কর্মী অস্ত্রসহ ধরা পড়েছেন।'
Comments