মগবাজারে বিস্ফোরণ: রাজউক, সিটি করপোরেশনের অবহেলা পেয়েছে তদন্ত কমিটি
রাজধানীর মগবাজারের ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজউক, সিটি করপোরেশনসহ কয়েকটি সেবা প্রতিষ্ঠানের অবহেলা পেয়েছে কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) তদন্ত কমিটি। এর মধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে তিতাস, রাজউক, সিটি করপোরেশনসহ অন্তত পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে পুলিশ চিঠি দিয়ে জবাব চেয়েছে।
ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় গঠিত সিটিটিসি তদন্ত কমিটি সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গত ২৭ জুন সন্ধ্যায় মগবাজারের ওয়্যারলেস গেট এলাকায় একটি তিন তলা ভবনের নিচতলায় ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ১২ জন নিহত হয় এবং প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হয়।
তদন্ত কমিটির কর্মকর্তারা জানান, তিতাসের গ্যাস লাইনের ছিদ্র থেকে বিস্ফারণ ঘটলেও, ৬০ বছরের পুরোনো একটি আবাসিক ভবনকে বাণিজ্যিক ভবন হিসাবে ব্যবহার করায় দায় এসব সেবা প্রতিষ্ঠান এড়াতে পারে না।
প্রাথমিক তদন্তে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের অবহেলার বিষয়টি উঠে এসেছে বলে জানান তারা।
সিটিটিসির তদন্ত কমিটির এক সদস্য দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়েছি। তদন্তের তথ্যও আদান প্রদান করেছি। করোনার কারণে তদন্ত ধীর গতিতে চলছে। আমরা শিগগিরই তদন্তকাজ শেষ করার চেষ্টা করছি।'
সূত্র জানায়, পুলিশের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় ইতিমধ্যে তিতাস, রাজউক, সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও বিদ্যুৎ বিভাগকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে তারা সর্বশেষ কবে এই ভবনগুলো পরিদর্শন করেছেন এবং বিস্ফোরণের পর তারা কী পেয়েছেন, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
তবে, করোনায় অফিস বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ চিঠির জবাব পাওয়া যায়নি বলে জানান কর্মকর্তারা।
তাদের বক্তব্য, '৬০ বছরের পুরোনো ভবনটি আবাসিক হিসাবে নির্মাণ করা হলেও, এটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। একটি আবাসিক ভবনকে হঠাৎ করেই বাণিজ্যিক ভবন হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। তিতাসের গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলেও অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর অবহেলাও আমরা পেয়েছি।'
বিভিন্ন সংস্থার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিতাসের লাইনের ছিদ্র থেকে জমা গ্যাস থেকেই ওই বিস্ফারণ ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের জমা দেওয়া প্রতিবেদনে তিতাসের গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের বিষয়টি উঠে এসেছে।
Comments