পটুয়াখালীতে ২০ মাসে পানিতে ডুবে ৪৫ শিশুর মৃত্যু

বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার মধ্যে পানিতে ডুবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে পটুয়াখালীতে। গত ২০ মাসে জেলার জলাশয়গুলোয় ডুবে ৪৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার মধ্যে পানিতে ডুবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে পটুয়াখালীতে। গত ২০ মাসে জেলার জলাশয়গুলোয় ডুবে ৪৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

একই সময়ে বরিশাল বিভাগে পানিতে ডুবে মোট ১৫৩ জন মারা গেছে। তাদের ৯২ শতাংশই শিশু।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহযোগিতায় গণমাধ্যম ও যোগাযোগবিষয়ক প্রতিষ্ঠান 'সমষ্টি'র জরিপ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সংগঠনটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উল্লেখিত সময়ে পটুয়াখালীতে ৪৫ জন, বরিশালে ৪৩ জন, বরগুনায় ১৮ জন, পিরোজপুরে ১৮ জন, ভোলায় ১৬ জন ও ঝালকাঠিতে ১৩ জন পানিতে ডুবে মারা গেছে।

পটুয়াখালীতে ৪৫ জনের মধ্যে বাউফলে ১৬ জন, কলাপাড়ায় ১০ জন, দশমিনায় ৫ জন, রাঙ্গাবালীতে ৪ জন, গলাচিপায় ৩ জন, মির্জাগঞ্জে ৩ জন, পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ৩ জন ও দুমকিতে একজন পানিতে ডুবে মারা যায়।

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বরিশাল বিভাগে পানিতে ডুবে মৃতদের ৯২ শতাংশই শিশু।

মৃতদের মধ্যে ৪ বছর বা এর কম বয়সী ৮৩ জন, ৫ থেকে ৯ বছর বয়সী ৪৭ জন, ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ৬ জন ও ১৫ থেকে ১৮ বছরের ৫ জন রয়েছে। এই তালিকায় ১২ জনের বয়স ১৮ বছরের বেশি।

'সমষ্টি'র পরিচালক মীর মাশরুর জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি কোনো সংস্থার কাছে তেমন কোনো তথ্য থাকে না বলে শিশুমৃত্যুর প্রকৃত চিত্র উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।'

জিএইচএআই'র যোগাযোগ ব্যবস্থাপক সরোয়ার-ই-আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সকাল থেকে বেলা ২টার মধ্যে সাধারণত পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটে। এ সময় মায়েরা সাংসারিক কাজে ব্যস্ত থাকেন। বাবারা কাজের জন্য বাড়ির বাইরে যান। পরিবারের সদস্যদের যথাযথ নজরদারি না থাকায় এ সময় পানিতে ডোবার ঘটনা বেশি ঘটে।'

পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'সচেতনতা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনা বেড়ে চলছে। এটি কমাতে গণসচেতনতা ও সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন।'

তিনি আরও বলেন, 'পানিতে ডুবে যাওয়া শিশুকে ওপরে ওঠানোর পর সিপিআর (কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন) পদ্ধতিতে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হবে। এ পদ্ধতিতে মুখে মুখ লাগিয়ে ও পেটে হালকা চাপ দিয়ে পানি বের করার চেষ্টা করা হয়। রোগী নিজে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে শুরু করলে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Chattogram shoe factory fire under control

A fire that broke out at a shoe accessories manufacturing factory on Bayezid Bostami Road in Chattogram city this afternoon was brought under control after two hours.

1h ago