তিনবিঘা করিডোরে বাড়তি নজরদারি

বাংলাদেশ ও ভারতে অবৈধভাবে মানুষ পারাপার রোধে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতার প্রবেশদ্বার তিনবিঘা করিডোরে বাড়তি নজরদারি বসিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
তিনবিঘা করিডোরে বিজিবির নজরদারি। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

বাংলাদেশ ও ভারতে অবৈধভাবে মানুষ পারাপার রোধে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতার প্রবেশদ্বার তিনবিঘা করিডোরে বাড়তি নজরদারি বসিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

অপরিচিতদের চিহ্নিত করতে বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে কাজ করছেন স্থানীয় আনসার সদস্যরা। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসা-তল্লাশি করা হচ্ছে। তিনবিঘা করিডোর দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনগুলোও তল্লাশি করা হচ্ছে।

লালমনিরহাট জেলা শহর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে পাটগ্রাম উপজেলার ইউনিয়ন দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা। প্রায় ২০ হাজার মানুষের বসবাস সেখানে। চারদিকে ভারতের ভূখণ্ড দ্বারা বেষ্টিত এই ইউনিয়নে প্রবেশ করতে হয় বহুল আলোচিত তিনবিঘা করিডোর দিয়ে।

দহগ্রাম-আঙ্গরপোতার সঙ্গে লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ, হলদীবাড়ী ও চ্যাংড়াবান্ধা। কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা দিয়ে সহজে ভারতে যাতায়াত করা যায়।

ই-অরেঞ্জ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ঢাকার বনানী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানা সম্প্রতি ভারতে গ্রেপ্তার হন। তিনি দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা রুট দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন।

এ ঘটনার পর থেকেই তিনবিঘা করিডোরে নজরদারি বাড়িয়েছে বিজিবি।

দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত ১ বছরে বাংলাদেশ ও ভারতে অবৈধ যাতায়াতের সময় ১২০ জনকে আটক করেছে বিজিবি। প্রশাসন চাইলে সীমান্তে অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে পারবে। কিন্তু, প্রশাসনের তেমন কোনো উদ্যোগ নজরে আসছে না।'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আঙ্গরপোতা জিরো পয়েন্টে বসবাসকারী একজন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশের চক্রগুলো অবৈধ কাজ করে আসছে। তারা একজনকে ভারতে অবৈধভাবে পার করতে ৫ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে। হুন্ডির মাধ্যমে অবৈধভাবে টাকাও পাচার করা হচ্ছে।'

পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দহগ্রামের বিষয়ে জেলা ও উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় আলোচনা হয়েছে। দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা এলাকায় আসা অপরিচিতদের নজরদারি করতে বিজিবিকে বলা হয়েছে। বিজিবি নজরদারি বৃদ্ধি করেছে।'

উপজেলা প্রশাসনও নজরদারি করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পানবাড়ী বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদা জাহাবুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধে তিনবিঘা করিডোরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। আনসার সদস্যরা অপরিচিত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে আমাদের সহায়তা করছেন।'

তিনি আরও বলেন, 'তিনবিঘা করিডোরে নজরদারি বাড়ানোর কারণে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতায় অপরিচিত মানুষের প্রবেশ অনেক কমেছে। দহগ্রাম-আঙ্গরপোতায় অপরাধ কমাতে আমরা নিরলস কাজ করছি।'

আঙ্গরপোতা বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার বাবুল মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় অপরিচিত কাউকে পেলে জিজ্ঞাসাবাদ ও আটক করা হচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English

A feminist approach to climate solutions

Feminist approaches offer significant opportunities for driving positive change.

4h ago