জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর নামে বেঞ্চ উৎসর্গ-বৃক্ষরোপণ ঐতিহাসিক ঘটনা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তার সম্মানে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের উত্তর লনের বাগানে একটি বেঞ্চ উৎসর্গ এবং সেই সঙ্গে একটি বৃক্ষরোপণকে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। গতকাল নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি এই বৃক্ষরোপণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, 'এই বৃক্ষটাও শতবর্ষের ওপর টিকে থাকবে এবং শান্তির বার্তাই বয়ে বেড়াবে।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'জাতির পিতা সবসময় শান্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই ছিল তার এই সংগ্রাম। সেখানে বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের কথাও যেমন তিনি ভেবেছেন, তেমনি সারাবিশ্বের ক্ষুধা ও দারিদ্র জর্জরিত, শোষিত-বঞ্চিত মানুষের কথাও তিনি বলেছেন।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব করও সঙ্গে বৈরিতা নয়, এটাই ছিল তার লক্ষ্য। কারণ, এতে করেই শান্তি আসবে এবং শান্তির সন্ধানেই তিনি ছিলেন। শান্তির জন্যই তিনি সংগ্রাম করেছেন। আর শান্তি ছাড়া কখনও কোনো দেশের উন্নতি হয় না।'
'এটা আমরা খুব ভালো বুঝি, একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই উন্নতি হওয়া সম্ভব', বলেন তিনি।
তিনি বলেন, 'আজ এখানে একটি বৃক্ষরোপণ করা হলো সেই সেপ্টেম্বর মাসে, যে মাসে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় (১৭ সেপ্টেম্বর) এবং তার পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘে আসেন এবং এখানে বাংলায় ভাষণ প্রদান করেন (২৫ সেপ্টেম্বর)। কাজেই, সেই মাসে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের উত্তরের লনের বাগানে বৃক্ষরোপণ করা হলো এবং একটি চেয়ার উৎসর্গ করা হলো। এই বৃক্ষটাও শতবর্ষের ওপর টিকে থাকবে এবং শান্তির বার্তাই বয়ে বেড়াবে।'
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'বৃক্ষ যেমন পরিবেশ রক্ষা করে তেমনি মানুষকে খাদ্য ও ছায়া দেয়। আর মানুষের জীবনকেও রক্ষা করে।'
এজন্য তিনি জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধিসহ প্রবাসী বাংলাদেশীদের ধন্যবাদ জানান।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী সকালে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের অংশগ্রহণে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। তিনি রোববার জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কি হয়ে নিউইয়র্ক পৌঁছান।
Comments