বরিশালে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে আমনের চারা উৎপাদন
বরিশালে এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে আমনের চারা উৎপাদন। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩৭ শতাংশ বেশি জমিতে উৎপাদন হওয়ায় এরই মধ্যে চারার দাম গত বছরের তুলনায় অর্ধেকে নেমে গেছে। এতে কৃষকরা খুশি হলেও চারা বিক্রেতারা লোকসান গুনছেন।
বরিশাল জেলার কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক রিদয়েশ্বর দত্ত জানান, বরিশাল জেলায় এবার ১ লাখ ২৪ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষের লক্ষ্যমাত্রা আছে। ইতোমধ্যে ১ লাখ ১২ হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণ হয়েছে। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে ধান উৎপাদন হবে। কৃষকরাও বেশি চারা উৎপাদন করেছেন। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩৭ ভাগ বেশি জমিতে চারা উৎপাদন হওয়ায় দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
তিনি জানান, এবার বরিশাল জেলায় ৭ হাজার ৪৪৩ হেক্টর জমিতে আমনের চারা উৎপাদনের টার্গেট থাকলেও চারা উৎপাদন হয়েছে ৯ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে।
বরিশালের আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, গত বছর ধানের ন্যায্য দাম পাওয়ায় কৃষকরা আমন উৎপাদনে ঝুঁকেছে। বরিশাল বিভাগে এ বছর ৭ লাখ ১৩ হাজার ৯৮৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা আছে। ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৭০ ভাগ অর্জিত হয়েছে।
বরিশালে আমন ধানের চারার সবচেয়ে বড় পাইকারি হাট মাহিলারা হাটে গিয়ে দেখা যায়, এখানে অন্তত কয়েক হাজার মণ ধানের চারা উঠেছে।
এই হাট থেকে চারা কিনেছেন এই জেলার আগৈলঝারা উপজেলার কালুর পার গ্রামের বিধান চন্দ্র সূত্রধার। তিনি জানান তার ১৪৪ শতাংশ জমির জন্য ৮৪০ বান্ডেল আমন চারা কিনেছেন। প্রতি ৮০ বান্ডেল কিনেছেন ২০০ টাকা দরে। এই দাম গত বারের চেয়ে অর্ধেক।
গৌরনদী উপজেলার ধানডোবা গ্রামের হেলালউদ্দিন এসেছেন এই হাটে আমনের চারা বিক্রি করতে। তিনি ১ হাজার বান্ডেল ধানের চারা সাড়ে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। গত বার এর দাম ৮ হাজার টাকার বেশি ছিল। অর্ধেকেরও বেশি দাম কমে যাওয়ায় আমরা লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছি।
বরিশাল সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাহমিদা হোসেন জানান, এবার সর্বত্র ব্যাপক আমনের চারা উৎপাদন হয়েছে। গতবার বন্যার কারণে বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চারার দাম কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছিল।
Comments