ওআইসির ‘ডিশটিংগুইশড স্কলার’ হলেন ড. হাফিজুর রহমান
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. হাফিজুর রহমান অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) এর 'ডিশটিংগুইশড স্কলার' নির্বাচিত হয়েছেন। ওআইসির চারটি স্ট্যান্ডিং কমিটির মধ্যে অন্যতম 'স্ট্যান্ডিং কমিটি ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন' (কমসটেক) কমিটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের এই খ্যাতিমান গবেষক ও শিক্ষককে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
'ডিশটিংগুইশড স্কলার' নির্বাচিত হওয়ার সুবাদে কমসটেকের অর্থায়নে ওআইসিভুক্ত ৫৭টি দেশে ভ্রমণের সুযোগ পাবেন ড. মো. হাফিজুর রহমান। পাশাপাশি এসব দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো, কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে পর্যালোচনার সুযোগ পাবেন তিনি। সেইসঙ্গে দেশের নির্ধারিত সংখ্যক শিক্ষার্থীকে এসব দেশে পাঠানোর সুযোগ পাবেন।
অধ্যাপক ড. মো. হাফিজুর রহমান বর্তমানে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগে শিক্ষকতা এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করছেন। সেইসঙ্গে জাপানের গিফু ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে কর্মরত। এর আগে তিনি পাকিস্তানের করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. পাঞ্জাবি সেন্টার ফর মলিকুলার মেডিসিন অ্যান্ড ড্রাগ রিসার্চের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন।
অধ্যাপক ড. মো. হাফিজুর রহমান লালমনিরহাট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চার্চ অফ গড উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু। তারপর লালমনিরহাট সরকারি কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োকেমিস্ট্রিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেন। এমএসসি থিসিস করার সময়েই তিনি রিসার্চ ফেলো হিসাবে বারডেম রিসার্চ ডিভিশনে কাজ শুরু করেন এবং বাংলাদেশি তরুণ ডায়াবেটিসের প্যাথোফিজিওলজি নিয়ে কাজ করেন। পরে তিনি 'গ্লাইসেমিক স্ট্যাটাস ইউনিট' রিসার্চ ডিভিশন, বারডেমে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি এই দলের নেতৃত্ব দেন এবং রক্তের গ্লুকোজ এবং এইচবিএওয়ানসি পরীক্ষার সমস্ত দিক পর্যবেক্ষণ করেন। এ ছাড়াও, তিনি বারডেমের বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন এবং গবেষণা বিভাগে পরিচালিত বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পের জন্য ল্যাবরেটরি পরীক্ষার মূল কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। তার ক্যারিয়ারের পরের পর্যায়ে তিনি বারডেমে প্রাক-ডায়াবেটিস গবেষণা চালু করেন এবং সফলভাবে প্রাক-ডায়াবেটিস গবেষণা দলের নেতৃত্ব দেন।
ড. মো. হাফিজুর রহমান পরে জাপানের কুমামোটো ইউনিভার্সিটি থেকে মলিকুলার জেনেটিক্স বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১৭ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন এবং বায়োকেমিস্ট্রি, মলিকুলার বায়োলজি, বায়োটেকনোলজি ও ড্রাগ নিয়ে ২৪ বছর ধরে গবেষণা করছেন।
Comments