১ মাসে প্রায় ১৬ কেজি আইস জব্দ কক্সবাজারে
কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় অতি আসক্তি সৃষ্টিকারী মাদক আইস বা ক্রিস্টাল মেথ জব্দের ঘটনা ঘটেই চলেছে। গত ১ মাসে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ১৬ কেজি আইস জব্দ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
তাদের দেওয়া তথ্যমতে, এগুলোর আনুমানিক মূল্য ৮০ কোটি টাকা।
সবশেষ গতকাল শুক্রবার রাতে রামু উপজেলার মরিছ্যাবাজারের অদূরে পশ্চিম গোয়ালিয়া পালং এলাকায় ১ কেজি আইসসহ ২ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করে বিজিবি। গ্রেপ্তার ২ জন হলেন- উখিয়ার কুতুপালং এলাকার সৈয়দুল আমিন (৩৪) এবং একই এলাকার এক কিশোর (১৬)।
রামুসহ বিজিবি-৩০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইব্রাহিম ফারুক জানিয়েছেন, ২ জনের বিরুদ্ধে বিজিবি মাদক আইনে রামু থানায় মামলা করেছে। আসামিদের থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এর আগের দিন গত বৃহস্পতিবার রাতে উখিয়ার পালংখালীতে ৫ কেজি আইস জব্দ করে বিজিবি। তার আগের দিন ১৯ জানুয়ারি টেকনাফের নাফ নদীর জল্ল্যাইরদ্বীপ থেকে বিজিবি জব্দ করে ৪ কেজি ১৭৫ গ্রাম আইস।
১৪ জানুয়ারি কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দরগা পাড়ার ঝাউবাগান থেকে আড়াই কেজি আইস উদ্ধার করে কোস্টগার্ড।
১১ জানুয়ারি কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নোয়াখালীপাড়ার জাউবাগান থেকে ২ কেজি ৬৪ গ্রাম আইস জব্দ করে বিজিবি।
গত ১৭ ডিসেম্বর টেকনাফের নাফ নদীর জইল্ল্যারদ্বীপ থেকে বিজিবি আরও ১ কেজি আইস জব্দ করে। এ উদ্ধার অভিযানে মিয়ানমারের মংডুর এক পাচারকারী ও টেকনাফের হ্নীলার এক পাচারকারীকে আটক করা হয়।
সম্প্রতি এত বেশি আইস জব্দের ঘটনার কারণ জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রুহুল আমিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বর্তমানে মাদকসেবীদের কাছে ইয়াবার চেয়ে ক্রিস্টাল মেথ বা আইসের চাহিদা বেশি। পাশাপাশি, ইয়াবা পাচারের চেয়ে আইস পাচার বেশি লাভজনক। তাই মাদক কারবারিরা ইয়াবার পরিবর্তে আইসে আগ্রহী হচ্ছে। হয়তো এসব কারণে আইস পাচার বেড়ে গেছে।'
Comments