
রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর আত্মসমর্পন করে জামিন চাইলে একই আদালত আবুল কালাম আজাদকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন।
এদিন আদালত অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানির জন্য আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেন। এই মামলায় অভিযুক্ত বাকি ৫ জন অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আমিনুল হাসান, উপপরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম বর্তমানে জামিনে মুক্ত আছেন। শুনানিকালে তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
অন্য অভিযুক্ত রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম বর্তমানে হাজতে আছেন। তাদের বিরুদ্ধে অনুমোদন না নিয়েই করোনায় আক্রান্ত সন্দেহভাজন ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসা প্রদানের নামে সরকারি তহবিল আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বিচারিক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় আবুল কালাম আজাদের নাম অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আগে এই মামলায় সাহেদ করিমসহ ৫ জনকে আসামি করা হয়েছিল।
দুদক জানায়, ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদসহ এই ৬ জন পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়নবিহীন রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর করে। এ ছাড়া, সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করার পর অবৈধভাবে প্রত্যেক রোগীর কাছ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা হিসাবে মোট ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করা হয়।
২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলাটি দায়ের করেছিল।
Comments