সাকিব হত্যা: মামলা থেকে নাম প্রত্যাহারে বাদীকে হুমকির অভিযোগ
সাভারের মিরপুর মফিদিয়াম স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী সাকিব আল হাসান হত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সাভারের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে নিহতের সহপাঠী ও স্বজনরা। এসময় মামলার অন্যতম আসামি নাবিনের বাবা মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলার বাদী ও নিহতের সহপাঠীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তারা।
আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সামনে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে সহপাঠী ও স্বজনেরা।
মানববন্ধনে নিহত সাকিবের এক সহপাঠি বলেন, 'পাওনা টাকা চাওয়ায় হত্যা পরিকল্পনা করে সাকিবকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা হত্যাকারীদের মধ্যে যারা গ্রেপ্তার হয়নি তাদের গ্রেপ্তার এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।'
মানববন্ধনে সাকিবের বড় ভাই রাকিব মিয়া বলেন, 'আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে ওর বন্ধু পিয়াস, ইমন, নাবিন, রাজুসহ কয়েকজন। পিয়াস, ইমন ও রাজুকে গ্রেপ্তার করা হলেও নাবিন ও বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।'
এর আগে বিচার দাবিতে মানববন্ধন করার কারণে মামলার অন্যতম পালাতক আসামি নাবিনের বাবা মিজানুর রহমান আমাদের ও সাকিবের সহপাঠিদের হুমকিধামকি দিয়েছে, তার ছেলের নাম সরিয়ে নিতে বলেছে মামলা থেকে। এনিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় রয়েছি,' বলেন রাকিব।
তিনি জানান, এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মোখলেছুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাকিব হত্যা মামলায় প্রধান আসামিসহ ৩ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার পলাতক আসামি নাবিন ও বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
পলাতক আসামি নাবিনের বাবা মিজানুর রহমান মামলার বাদী ও সাকিবের সহপাঠিদের হুমকি দিচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হুমকি দেয়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করা হয়নি এবং আমাকেও জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে আসামি নাবিনের বাবা মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
গত ১৮ মার্চ সাকিবের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে সাভার মডেল থানায় জিডি করেন তার ভাই রাকিব। পাশাপাশি ২০ মার্চ সাকিব নিখোঁজ জানিয়ে র্যাবের কাছে অভিযোগ দেন তিনি।
নিখোঁজের ১০ দিন পর গত ২৬ মার্চ সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নের একটি নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে সাকিবের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং সাকিবের বন্ধু পিয়াসকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে সাকিবের অপর বন্ধু ইমনকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
Comments