সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় জামিনে ছিলেন আরসা কমান্ডারের ভাই শাহ আলী
কক্সবাজারের উখিয়া থেকে গত রোববার গ্রেপ্তার হওয়া মোহাম্মদ শাহ আলীর বিরুদ্ধে ঢাকার হাজারীবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা আছে। ২০১৯ সালে পুলিশের করা ওই মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন।
অস্ত্র ও মাদকসহ রোববার আটকের পর তার বিরুদ্ধে ২টি মামলা করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। মামলার এজাহারে এ সব তথ্য বলা হয়েছে। এজাহারের কপি দ্য ডেইলি স্টারের হাতে এসেছে।
শাহ আলী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) কমান্ডার আতাউল্লাহর ভাই।
এজাহারে শাহ আলীর স্থায়ী ঠিকানা চট্টগ্রামের দেওয়ান বাজার ও বর্তমান ঠিকানা কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প উল্লেখ করা হয়েছে। তার বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র আছে বলেও জানানো হয়েছে।
এপিবিএনের উপপরিদর্শক মো. রুহুল আজম বাদী হয়ে উখিয়া থানায় মামলা ২টি করেছেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে গতকাল সোমবার উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমদ সনজুর মোরশেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রোববার সন্ধ্যায় শাহ আলীকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করার পর তাকেসহ ২ জনকে আসামি করে অস্ত্র ও মাদক আইনে আলাদা ২টি মামলা করে আর্মড পুলিশ।'
এ ছাড়া, তাদের বিরুদ্ধে আরেকটি অপহরণ মামলাও করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ওসি সনজুর মোরশেদ আরও জানান, কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদেশে শাহ আলীকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরসা কমান্ডার আতাউল্লাহর ভাই মোহাম্মদ শাহ আলী চিহ্নিত আরসা সদস্য, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, অপহরণচক্রের হোতা ও মাদক চোরাকারবারি বলেও এপিবিএনের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
উখিয়া পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আন্দোলনের সংগঠক এম গফুর উদ্দীন চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী গ্রুপ আরসার অবস্থান আছে কি নাই, তা ভালো বলতে পারবে সরকারি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।'
'তবে আমি একজন প্রান্তিক জনপ্রতিনিধি হিসেবে এটুকু বলতে পারি যে ক্যাম্পগুলোতে যত অপরাধ সংঘটিত হয়, তার মূল হোতারা নিজেদের আরসার সদস্য বলে দাবি করেন।'
১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক নাইমুল হক ডেইলি স্টারকে জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো থেকে এ পর্যন্ত আরসা নামধারী অন্তত ১১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Comments