সন্তান হত্যায় আদালতে সৌদি প্রবাসীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিজ সন্তানকে হত্যার ঘটনা আদালতে বর্ণনা করেছেন এক সৌদি প্রবাসী। স্ত্রীকে সন্দেহের বশে নয় বছরের ছেলেকে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের নদ্দাপাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে সৌদি প্রবাসী বাদল (৩০) আদালতে ছেলেকে হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারিক হাকিম আনোয়ার সাদাত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
গতকাল বিকালে দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর আলম।
বাদলের জবানবন্দি উদ্ধৃত করে সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ার জানান, গত ২৪ জুলাই শনিবার সকালে ঘাস কাটার কথা বলে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ছেলে সায়মনকে নিয়ে যান বাদল। এসময় তার ভাগিনা তাদের সঙ্গে ছিল। ভাগিনাকে কৌশলে বাড়িতে পাঠিয়ে ঘাস কাটার কাঁচি দিয়ে শিশুপুত্র সায়মনকে জবাই করে হত্যা করেন বাদল।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সায়মনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ওই ঘটনায় সায়মনের মায়ের দায়ের করা মামলায় পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে বাদল মিয়াকে আটক করে।
পুলিশ পরিদর্শক মাসুদ জানান, বাদল ২০১২ সালে সৌদি থেকে এসে মামাতো বোন মিলিকে বিয়ে করেন। স্ত্রীকে সন্দেহের বশেই তিনি বড় সন্তান সায়মনকে হত্যা করেন বলে স্বীকার করেছেন। তাদের আয়মন (৬) ও নাঈম (৪) নামে আরও দুটি ছেলে আছে।
Comments