সব খুনির ফাঁসি চেয়েছিলাম: আবরারের মা

‘রায়ে আমি সন্তুষ্ট। তবে আমি সব খুনির ফাঁসি চেয়েছিলাম। আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই এটা আমি বলছি,’ রায় ঘোষণার পরপরই এমন প্রতিক্রিয়া জানান আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন।
রোকেয়া খাতুন। ছবি: সংগৃহীত

'রায়ে আমি সন্তুষ্ট। তবে আমি সব খুনির ফাঁসি চেয়েছিলাম। আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই এটা আমি বলছি,' রায় ঘোষণার পরপরই এমন প্রতিক্রিয়া জানান আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন

আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রোকেয়া খাতুন দ্য ডেইলি স্টারকে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'আমি তো ২৫ জনেরই ফাঁসি চেয়েছিলাম।'

তিনি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহার নাম উল্লেখ করে রোকেয়া খাতুন আরও বলেন, 'সেই তো সবকিছুর সঙ্গে ছিল। আমি অমিতেরও ফাঁসি চাই।'

'রায়ে আমি সন্তুষ্ট। তবে আমি সব খুনির ফাঁসি চেয়েছিলাম। আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই এটা আমি বলছি,' রায় ঘোষণার পর পরই এমন প্রতিক্রিয়া জানান আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন।

আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রোকেয়া খাতুন দ্য ডেইলি স্টারকে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'আমি তো ২৫ জনেরই ফাঁসি চেয়েছিলাম।'

তিনি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহার নাম উল্লেখ করে রোকেয়া খাতুন আরও বলেন, 'সেই তো সবকিছুর সঙ্গে ছিল। আমি অমিতেরও ফাঁসি চাই।'

আজ ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রায়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ২০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহতাসিম ফুয়াদ, সাবেক গ্রন্থাগার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না, সাবেক আইন বিষয় উপসম্পাদক অমিত সাহা, সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী আকাশ হোসেন ও মোয়াজ আবু হুয়ারেরা।

একইসঙ্গে আদালত তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল ওরফে শান্ত, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অনিক সরকার অপু, সাবেক সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, সাবেক সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপসম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মুস্তবা রাফিদ এবং সদস্য মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ, মুনতাসির আল জেমি এবং ইহতাশামুল রাব্বী তানিম।

এ ছাড়া, ছাত্রলীগ কর্মী খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর, এএসএম নাজমুস সাদাত, মাজেদুর রহমান ওরফে মাজেদ, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, শামীম বিল্লাহ, মুহাম্মদ মোরশেদ-উজ-জামান মণ্ডল ওরফে জিসান, মোরশেদ অমর্ত্য ইসলাম, মিজানুর রহমান মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এসএম মাহমুদ সেতুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

তাদের মধ্যে জিসান, তানিম ও মুস্তবা রাফিদ পলাতক।

Comments