রাজশাহী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহতের অভিযোগ

রাজশাহীর পবা উপজেলায় ভারত সীমান্তে গুলিবিদ্ধ এক বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রাজশাহী ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাব্বির আহমেদ আজ বুধবার দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর পবা উপজেলায় ভারত সীমান্তে গুলিবিদ্ধ এক বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রাজশাহী ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাব্বির আহমেদ আজ বুধবার দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আজ বুধবার ভোরে পবা উপজেলার মঞ্জুর হোসেনের ছেলে মো. মিঠুন আলীর (২৫) গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, 'স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে বিজিবি ঘটনাস্থলে যায় এবং ভোর ৬টার দিকে চর মাঝারদিয়া এলাকার সীমানা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

মিঠুনের মরদেহ উদ্ধার করে তদন্তের জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

দামকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, মরদেহটি মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ ও বিজিবি কর্মকর্তারা জানান, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মিঠুনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে।

তারা জানান, মিঠুন অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করার সময় তাকে গুলি করা হয় বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রমাণ পেয়েছে।

স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও গ্রামবাসীরাও তাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।

স্থানীয় হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলে রিজভী হাসান মঞ্জিল বলেন, 'ঘটনাস্থলে জড়ো হওয়া গ্রামবাসীরা আমাদের বলেছে তাকে বিএসএফ হত্যা করেছে।'

'ভারতের দিক থেকে গুলির শব্দ শুনে গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং রক্তাক্ত অবস্থায় মিঠুনের মরদেহ দেখতে পান,' যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'বিজিবি ও পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে গেলে বিএসএফের জোরদার টহল লক্ষ্য করা গেছে।'

মিঠুন মোটরসাইকেলে যাত্রী বহন করত এবং মাঝে মাঝে সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার করত বলে জানান চেয়ারম্যান।

Comments

The Daily Star  | English

Govt primary schools asked to suspend daily assemblies

The government has directed to suspend daily assemblies at all its primary schools across the country until further notice due to the ongoing heatwave

21m ago