বগুড়ায় গুদামে মজুদ ৩১ হাজার লিটার সয়াবিন তেল, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় এক ব্যবসায়ীর গুদামে অবৈধভাবে মজুদ করা ৩১ হাজার ৮ লিটার সয়াবিন তেলের (১৫২ ব্যারেল) সন্ধান পেয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অবৈধভাবে তেল মজুদের জন্য ওই ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শেরপুর উপজেলার ফকির ওয়েল মিলের গুদামে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় এক ব্যবসায়ীর গুদামে অবৈধভাবে মজুদ করা ৩১ হাজার ৮ লিটার সয়াবিন তেলের (১৫২ ব্যারেল) সন্ধান পেয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অবৈধভাবে তেল মজুদের জন্য ওই ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার ফকির ওয়েল মিলের গুদাম পরিদর্শনকালে এই তেল পাওয়া যায়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাব্রিনা শারমিন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, এই তেল জব্দ করা হয়নি। বরং ব্যবসায়ীকে নির্ধারিত দামে তেল বিক্রির আদেশ দেওয়া হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও শেরপুর উপজেলার এসি-ল্যান্ড (সহকারী কমিশনার-ভূমি) সাব্রিনা শারমিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রথমে আমরা ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনের দোকানে যাই। সেখানে কোনো সয়াবিন তেল পাইনি। পরে তার গুদাম পরিদর্শন করতে চাইলে তিনি বলেন তার গুদামে শুধু পামওয়েল আছে, সয়াবিন তেল নেই।'

পরে তার গুদামে অভিযান চালিয়ে ১৫২ ব্যারেল (প্রতিটিতে ২০৪ লিটার) সয়াবিন তেল পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, 'পরে ওই ব্যবসায়ী তার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। তিনি এই তেল দীর্ঘদিন ধরে তার গুদামে অবৈধভাবে মজুদ করে আসছিলেন। এতে বাজারে তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে।'

কাগজপত্র অনুযায়ী ওই ব্যবসায়ী সরকার নির্ধারিত দামেই তেল বিক্রি করছিলেন উল্লেখ করে তিনি জানান, 'এ কারণে তার তেল জব্দ করা হয়নি। তবে তাকে মজুদ না রেখে বাজারে নির্ধারিত দামে তেল বিক্রি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'

Comments