দ্রুত কোটিপতি হওয়ার জন্যে অফিস সহায়ক যখন ইয়াবা চোরাকারবারি
কক্সবাজার জেলার টেকনাফে ২০ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক অফিস সহায়ককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের সামনের চত্বর থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মাদক আইনে রুজু করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, 'আটকের পর রহিম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে বলেছেন- তার চোখের সামনে রিকশাওয়ালা, গাড়িচালক, দিনমজুরসহ অনেকে ইয়াবার কারবারে জড়িয়ে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছেন। তাই তিনিও ধনী হতে এই পথ বেছে নেন।'
ওসি আরও বলেন, 'গতকাল বুধবার রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে থানা–পুলিশের একটি দল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের সামনে থেকে আবদুর রহিমকে আটক করে। এ সময় তাকে তল্লাশি করে ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রহিম ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন পুলিশের কাছে।'
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, 'এ ঘটনায় আবদুর রহিমের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।'
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা টিটু কুমার শীল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, 'গ্রেপ্তার আবদুর রহিম রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং তিনি টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।'
তিনি আরও বলেন, 'দীর্ঘ ২২ বছর আবদুর রহিম টেকনাফসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকরি করেছেন। মাদকসহ গ্রেপ্তারের বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে।'
কক্সবাজারের সিভিল সার্জন মো. মাহবুবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিষয়টি আমাকে গতরাতেই মৌখিক জানিয়েছেন। তার কাছ থেকে এ বিষয়ে দাপ্তরিকপত্র পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবদুর রহিমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।'
Comments