টিকার লাইনে চোর সন্দেহে নারীকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ১
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা গ্রহণের লাইন থেকে সোনার চেইন হারিয়ে যাওয়ায় চোর সন্দেহে রুনা বেগম (৩৫) নামে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জহুরা বেগম নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জহুরা নবাবগঞ্জ উপজেলার বড় বলমন্দ গ্রামের হজরত আলীর স্ত্রী। আজ সোমবার সকালে নবাবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মৃত্যুঞ্জয় কুমার চিত্তনিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ঘটনার সূত্রপাত হয় গতকাল সকাল ১১টার দিকে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রচণ্ড ভিড় ছিল। সে সময় জহুরা বেগমের গলা থেকে সোনার চেইন হারিয়ে যায়। তার চিৎকারে কেন্দ্রে উপস্থিত টিকা গ্রহীতারা ২ নারীকে তল্লাশি করে। চেইন পাওয়া না গেলেও চোর সন্দেহে তাদের মারধর করা হয়। এরপর তাদের বড় বলমন্দ গ্রামে নিয়ে গিয়ে আবারও নির্যাতন করা হয়।
বিকেল ৪টার দিকে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে রুনা বেগমকে মৃত অবস্থায় পাই। রুনার মরদেহ রাতে থানায় ছিল। সকালে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। রুনার সঙ্গে ছিলেন পপি আক্তার (২৩)। তাকে আহত অবস্থায় প্রথমে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছিল, সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে— বলেন মৃত্যুঞ্জয়।
তিনি আরও বলেন, রুনা ও পপির বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
Comments