চৌমুহনীতে সাম্প্রদায়িক হামলা: গ্রেপ্তার আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজামণ্ডপ, মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি-ঘরে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে আব্দুর রহিম সুজন (১৯) নামের ওই আসামি স্বেচ্ছায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার ভোরে তাকে চৌমুহনীর করিমপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লুট হওয়া কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়। আব্দুর রহিম সুজন চৌমুহনীর করিমপুর এলাকার আব্দুল কাশিমের ছেলে।
বৃহস্পতিবার রাতে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
চৌমুহনীতে গত শুক্রবার বিকেলে দুর্গাপূজার দশমীর দিন জুমার নামাজ শেষে কয়েক হাজার লোক মিছিল নিয়ে চৌমুহনীর ডিবি রোড, ব্যাংক রোড ও কলেজ রোডে ঢুকে পড়ে। মিছিলকারীরা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের দোকানপাট, ঘর-বাড়ি, মন্দির ও পূজামণ্ডপে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে। ওই হামলার ঘটনায় ইসকন মন্দিরের ভক্ত যতন সাহা ও প্রান্ত চন্দ্র দাস নিহত হন। বেগমগঞ্জ থানায় হামলার ঘটনায় মোট ৮টি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ২১৯ জন। অজ্ঞাত আসামি ৫ হাজার। এদের মধ্যে এজাহারভুক্ত ৬৮ জন ও সন্দেহভাজন ৩৯ জনসহ মোট ১০৭ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গ্রেপ্তারকৃত আসামি আব্দুর রহিম সুজনের বসতঘর থেকে লুণ্ঠিত জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ কাজ করছে।'
এসপি আরও বলেন, 'হামলার ঘটনায় জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।'
Comments