চট্টগ্রামে চলন্ত বাসে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ: চালক ও সহকারী গেপ্তার

চট্টগ্রামে চলন্ত বাসে এক তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় সেই বাসচালক ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নৌকার এজেন্টের ৬ মাসের কারাদণ্ড
প্রতীকী ছবি। স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

চট্টগ্রামে চলন্ত বাসে এক তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় সেই বাসচালক ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার হাটহাজারী থানার কুয়াইশ এলাকা থেকে বাসচালক আনোয়ার হোসেন টিপু (২৩) ও চাঁদগাঁও থানার সিঅ্যান্ডবি এলাকা থেকে সহকারী জনি দাশকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়। একই সময়ে সেখান থেকে বাসটিও জব্দ করা হয়।

নগরের বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটে বাস থেকে পড়ে গুরুতর আহত ওই পোশাককর্মী জ্ঞান ফেরার পর অভিযোগ করেন, বাসে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন চালক। তার হাত থেকে বাচতে ২০ বছরের ওই তরুণী চলন্ত বাস থেকে লাফ দিয়ে আহত হয়েছিলেন।

গত ১৯ মে রাতে নগরের শাহ আমানত সেতুর সংযোগ সড়কের রাহাত্তারপুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বাসটি ছিল ওই পোশাক কারখানার কর্মীদের যাতায়াতের জন্য ভাড়া করা।

এর ৬ দিন পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ওই তরুণী গত মঙ্গলবার বিকেলে নগরের ভাড়া বাসায় ফেরেন। বুধবার তার বাসায় বাকলিয়া ওসি রাশেদুল হকসহ নারী কর্মকর্তারা যান। এদিন সন্ধ্যায় ওই তরুণীর মা বাকলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

চট্টগ্রামে এর আগে বাসে নারীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার দুটি ঘটনা ঘটেছে। ২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মৌলভী পুকুরপাড় এলাকায় এক পোশাককর্মীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণ করা হয়। একই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় এক গৃহবধূকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়।

এ ছাড়া গত বছরের ২৫ আগস্ট টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন বাসচালক, সহকারীসহ ৫ পরিবহনশ্রমিক।

একই বছরের ১৯ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ বন্দর এলাকায় এক গৃহবধূকে যাত্রীবাহী বাসে উচ্চ স্বরে গান বাজিয়ে ধর্ষণ করা হয়।

Comments