কক্সবাজারে যুবকের কবজি বিচ্ছিন্ন: ৫ আসামির দণ্ড

যুবকের হাতের কবজি কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করার মামলায় ৫ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
নৌকার এজেন্টের ৬ মাসের কারাদণ্ড
প্রতীকী ছবি। স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

যুবকের হাতের কবজি কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করার মামলায় ৫ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের মুখ্য বিচারিক হাকিম আলমগীর মোহাম্মদ ফারুকী ওই রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের নয়াপাড়ার আজিজুর রহমান হাজিরানের স্ত্রী জাহানারা বেগম (৫৫), হাজিরানের ৪ সন্তান মোহাম্মদ আয়াত উল্লাহ আরিফ (২৫), মোহাম্মদ ফারুক (১৯), আমান উল্লাহ (২২) ও হাসিনা বেগম (৩০)।

বিচারক জাহানারাকে ৪ মাস, আরিফকে ৭ বছর, ফারুককে ৪ বছর ও জাহানারাকে ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার নথিসূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৭ মে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের নয়াপাড়ায় জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে ৮-৯ জন ব্যক্তি সংঘবদ্ধ হয়ে একই এলাকার নুরুল আলমের বসত-বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা দা, ছুড়ি, কিরিচ, রড ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। তাদের মধ্যে আয়াত উল্লাত আরিফ ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে নুরুল আলমের পুত্র নুর নবীর (২০) বাম হাতের কব্জি কেটে শরীর থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে। অন্যান্যরা নুরুল আলম, তার স্ত্রী হালিমা বেগম, পুত্র মোহাম্মদ মোস্তফা, কন্যা হাদিয়া আক্তার ও হাদিয়া আক্তারের স্বামী মোহাম্মদ হেলালকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করে।

এ ঘটনায় নুরুল আলমের কন্যা হাদিয়া আক্তার বাদী হয়ে ঘটনার দুইদিন পর ১৯ মে টেকনাফ থানায় ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযুক্ত ৫ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত বিচারের জন্য অভিযোগপত্র গঠন করেন। ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা শেষে প্রায় ৬ বছর বিচারিক কার্যক্রম চলার পর আজ মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।

Comments