এবি ব্যাংকের ১৫ সাবেক কর্মকর্তাসহ ১ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ

এবি ব্যাংকের ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ১৫ সাবেক কর্মকর্তা ও এক ব্যবসায়ীকে ৭ দিনের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
২১ আগস্ট, গ্রেনেড হামলা
ফাইল ছবি

এবি ব্যাংকের ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ১৫ সাবেক কর্মকর্তা ও এক ব্যবসায়ীকে ৭ দিনের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এ ছাড়া অভিযুক্ত ১৫ আসামির ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। যাতে তারা দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে।  

এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান দ্য ডেইলিকে বলেন, 'মামলার দুই আসামি মো. শহিদুল ইসলাম ও আবদুর রহিমের জামিন আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বেচ্ছায় এই আদেশ দেন।' 

তিনি আরও বলেন, 'হাইকোর্ট শহিদুল ও রহিমকে জামিন দিতে অস্বীকার করলেও দুদক ও সরকারকে এক রুলে জানাতে বলেছেন এই মামলায় কেন তাদের জামিন দেওয়া হবে না।'

দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এবি ব্যাংক লিমিটেডের ১৬ সাবেক কর্মকর্তাসহ মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ৯ জুন মামলা করে দুদক।

মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্ত সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তারা স্বাক্ষর জাল করে, অফিসের অনুমোদন ছাড়া ৬টি ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার ও ৭টি অবৈধ ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন এবং এবি ব্যাংকের একটি প্রধান শাখা থেকে ১৭৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা ঋণ নেন। পরে, তারা তাদের ব্যক্তিগত তহবিলে সেই টাকা স্থানান্তর করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, এরশাদ আলী, এ বি এম আবদুস সাত্তার, আবদুর রহিম, আনিসুর রহমান, রুহুল আমিন, শহিদুল ইসলাম, ওয়াসিকা আফরোজী, মুফতি মুস্তাফিজুর রহমান, সালমা আক্তার, মোহাম্মদ ইমারত হাসান ফকির, তৌহিদুল ইসলাম, শামীম-ই-মেরশেদ, খন্দকার রাশেদ আনোয়ার, সিরাজুল ইসলাম, মোহাম্মদ মাহফুজ-উল-ইসলাম, মশিউর রহমান চৌধুরী ও শামীম আহমেদ চৌধুরী।

Comments

The Daily Star  | English

Create right conditions for Rohingya repatriation: G7

Foreign ministers from the Group of Seven (G7) countries have stressed the need to create conditions for the voluntary, safe, dignified, and sustainable return of all Rohingya refugees and displaced persons to Myanmar

25m ago