বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় চীনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে চীন তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই জানিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
তাসখন্দে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে চীন তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই জানিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

উজবেকিস্তানের তাসখন্দে ‘সেন্ট্রাল অ্যান্ড সাউথ এশিয়া কানেকটিভিটি চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটিস’ শীর্ষক ওই সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতি অনুযায়ী, ওয়াং ই বলেছেন যে চীন বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচারকে গুরুত্ব দেবে এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার মতো প্রাথমিক আদর্শ মেনে চলবে।

বৈঠকে ওয়াং ই মোমেনকে জানান, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ-চীনের কৌশলগত অংশীদারিত্বমূলক সহযোগিতার ক্ষেত্রে চীন বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।

এছাড়া চীন বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে উল্লেখ করে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের ভ্যাকসিনের চাহিদা পূরণের বিষয়ে আলোচনার জন্য চীন প্রস্তুত আছে।

আব্দুল মোমেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান, বাংলাদেশ সব সময় ‘ওয়ান-চায়না’ নীতিকে সমর্থন করে এবং হংকং, তিব্বত ও জিনজিয়াংয়ের মতো চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাংলাদেশ চীনের নীতিকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।

আঞ্চলিক সংহতি বৃদ্ধি এবং বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে স্থল ও সমুদ্রপথের মাধ্যমে এশিয়াকে আফ্রিকা ও ইউরোপের সঙ্গে সংযুক্ত করতে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ বাস্তবায়নে কাজ করছে চীন। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে চীনের এই উদ্যোগে যোগ দিয়েছে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র চাচ্ছে বাংলাদেশ তার নেতৃত্বাধীন ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আপিএস) এ যোগ দিক।

এর আগে, গত মে মাসে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং মন্তব্য করেন, বাংলাদেশের উচিত হবে না কোয়াডে যোগ দেওয়া। এতে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের সমন্বয়ে গঠিত কোয়াডকে তিনি সামরিক জোট হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করে বলেন, চীনের উত্থান ও প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিরোধী এই জোট।

Comments

The Daily Star  | English

Tehran signals no retaliation against Israel after drones attack Iran

Explosions echoed over an Iranian city on Friday in what sources described as an Israeli attack, but Tehran played down the incident and indicated it had no plans for retaliation - a response that appeared gauged towards averting region-wide war.

1h ago