ভারতে এক দিনের ব্যবধানে করোনা সংক্রমণ বাড়ল ৮৯.৮ শতাংশ
বাংলাদেশে গতকাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাননি। গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ৫১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। কিন্তু ভারতের পরিস্থিতি ভিন্ন। দেশটিতে এক দিনের ব্যবধানে করোনা সংক্রমণের হার প্রায় ৯০ শতাংশ বেড়েছে।
আজ সোমবার এনডিটিভি জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ২ হাজার ১৮৩ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, যা এর আগের দিনের আক্রান্ত ১ হাজার ১৫০ জনের তুলনায় ৮৯ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
এক দিনের ব্যবধানে সংক্রমণের হার এতটা বৃদ্ধি পাওয়ায় সংশ্লিষ্টরা আরও একটি করোনা সংক্রমণের ঢেউয়ের আশঙ্কা করছেন।
একই সময়ে ২১৪ জনের মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মৃতদের মধ্যে অনেকেই কেরালা রাজ্যের বাসিন্দা এবং তারা আরও আগে মারা গেলেও সে সংখ্যা প্রশাসনিক জটিলতার কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে হিসেব করা হয়নি। আদালতের আপিল প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ৬২ জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়াও, কেরালা রাজ্যের পক্ষ থেকে ১৩ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিলের মধ্যে আরও ১৫০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।
পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার গতকালের শূন্য দশমিক ৩১ শতাংশ থেকে বেড়ে আজ শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ হয়েছে।
মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভারতে মোট ৪ কোটি ৩০ লাখ লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ মুহূর্তে করোনায় ভুগছেন ১১ হাজার ৫৪২ জন।
রাজধানী দিল্লিতে সর্বোচ্চ ৫১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ মুহূর্তে দিল্লিতে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৫১৮ জন, যা এ বছরের ৩ মার্চের পর সর্বোচ্চ।
গত কয়েক সপ্তাহে দিল্লি, গাজিয়াবাদ ও নয়ডা শহরে বেশ কিছু শিক্ষার্থীর করোনা ধরা পড়ায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে অনেক স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই'র এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দিল্লি ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় গত ১৫ দিনে কারও সামাজিক বলয়ে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি থাকার সংখ্যা ৫০০ শতাংশ বেড়েছে।
এমন এক সময় করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, যখন প্রতিটি রাজ্যে করোনা সংক্রান্ত বেশিরভাগ বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছে, বিশেষ করে যাতায়াতের ক্ষেত্রে। এমনকি অনেক রাজ্যে জনসম্মুখে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতাও তুলে নেওয়া হয়েছে।
তবে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক পরে থাকার সুপারিশ করা হয়েছে।
এর আগে, যথেষ্ট প্রস্তুতি না থাকায় করোনার ঢেউ ভারতে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটায়। অল্প সময়ের মধ্যে অনেক মানুষ সংক্রমণের শিকার হন এবং কার্যত দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে।
Comments