সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা স্থগিত

মিয়ানমারের সামরিক আদালত দেশটির গণতান্ত্রিক নেতা অং সান সু চি’র বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতি মামলার রায় স্থগিত ঘোষণা করেছে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করার পর থেকে ৭৬ বছর বয়সী সু চিকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। রয়টার্স ফাইল ছবি (২০১৯)

মিয়ানমারের সামরিক আদালত দেশটির গণতান্ত্রিক নেতা অং সান সু চি'র বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতি মামলার রায় স্থগিত ঘোষণা করেছে।

আজ সোমবার সামরিক সরকারের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।

এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে নোবেল শান্তি বিজয়ী নেত্রীর ১৫ বছর কারাদণ্ড হবে।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করার পর থেকে ৭৬ বছর বয়সী সু চিকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।

তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে আছে দুর্নীতি, নির্বাচনী আইন ও রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইনের লঙ্ঘন। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার সর্বোচ্চ ১৫০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

ইতোমধ্যে ২টি মামলায় সু চির ৬ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। বাকি মামলার বিচারিক কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে চলতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ কারণে সু চির সক্রিয় রাজনীতিতে শিগগির ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

সামরিক সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন গণমাধ্যমকে বলেন, 'আজ কোনো রায় ঘোষিত হয়নি।'

আজকের মামলার অভিযোগে দাবি করা হয়েছে, সু চি ইয়াঙ্গুনের সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে ৬ লাখ ডলার ও স্বর্ণের বার নিয়েছিলেন।

রায় কবে ঘোষিত হতে পারে, এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি জাও মিন।

সু চির সাবেক শিষ্য ফিও মিন থেইন গত অক্টোবরে সাক্ষ্য দিয়ে বলেন যে তিনি সু চির সহযোগিতা পাওয়ার জন্য তাকে অর্থ ও স্বর্ণ দিয়েছিলেন।

সু চি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করার পাশাপাশি সামরিক সরকারের দাবিগুলোকে 'অবাস্তব' বলে অভিহিত করেছেন।

গৃহবন্দি সু চিকে কারো সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয় না। তার বিচার কার্যক্রম সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের ওপর সামরিক শাসকের নিষেধাজ্ঞা আছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সদস্যরা এ বিচার কার্যক্রমকে প্রহসন বলে অভিহিত করেছেন। তবে সামরিক শাসকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একটি নিরপেক্ষ আদালতে এই বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সু চিকে আইনি সুরক্ষার উপযুক্ত সুযোগ পাচ্ছেন বলেও জানানো হয়েছে।

 

Comments