শ্রীলঙ্কায় সাংবিধানিকভাবে কমছে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা

শ্রীলঙ্কায় নতুন মন্ত্রিসভা গঠন ও সংবিধান সংস্কার নিয়ে কাজ করছেন নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে।
শ্রীলঙ্কার নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিংহেকে স্বাগত জানাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। ছবি: এপি
শ্রীলঙ্কার নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিংহেকে স্বাগত জানাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। ছবি: এপি

শ্রীলঙ্কায় নতুন মন্ত্রিসভা গঠন ও সংবিধান সংস্কার নিয়ে কাজ করছেন নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে।

আজ বৃহস্পতিবার দেশটির গণমাধ্যম ডেইলি মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী তার আইনি ড্রাফটসম্যান, অ্যাটর্নি জেনারেল ও ২ আইনপ্রণেতা—বিজয়াদাসা রাজাপাকসে ও সুশীল প্রেমাজায়ান্থার সঙ্গে গতকাল সংবিধানের ২১তম সংশোধনী নিয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়, সংশোধনীর বিস্তারিত চূড়ান্ত করে আগামী সপ্তাহে তা মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে।

রাজনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ২ আইনপ্রণেতা ২১তম সংশোধনীর খুঁটিনাটি যাচাই-বাছাই করবেন। সংশোধনী বাস্তবায়িত হলে তা রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাকে অনেক কমিয়ে দেবে এবং পার্লামেন্টকে আরও শক্তিশালী করবে।

মূলত ১৯তম সংশোধনীকে সংস্কার করেই ২১তম সংশোধনী করা হচ্ছে। তবে প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতা বাতিল করা হচ্ছে না। তার ক্ষমতা অনেক কমবে এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে আবার ক্ষমতা দেওয়া হবে।

নতুন সংশোধনীটি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদন মতে, পদত্যাগের চাপে থাকা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসেকে এই সংশোধনীর বিষয়ে জানানো হয়েছে। তিনি এই উদ্যোগে সম্মতি জানিয়েছেন।

নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে এসএলএফপি ও এসএলপিপি দলের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করছেন। জানা গেছে, মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার বিষয়ে প্রধান বিরোধী দল এসজেবির সঙ্গেও তিনি আলোচনা করছেন।

কয়েকজন জ্যেষ্ঠ আইন প্রণেতার মতে, শ্রীলঙ্কার বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট দ্রুত কাটাতে অর্থমন্ত্রীর পদ বিক্রমাসিংহের কাছেই বাড়তি দায়িত্ব হিসেবে থাকা উচিৎ।

'নতুন মন্ত্রিসভায় ২০ জন মন্ত্রী থাকবেন' উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে ইতোমধ্যে প্রেসিডেন্টকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

 

Comments