ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছিলেন ভারতীয় ট্রাক চালকরা
বেনাপোল-পেট্রাপোলের মধ্যে চলাচলকারী ভারতীয় ট্রাক চালকদের কাছ থেকে ৮২টি ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স জব্দ করেছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
ভারতের পেট্রাপোলে গত দুই দিন ট্রাক চালকদের মধ্যে অভিযান চালায় বিএসএফ। এই ট্রাক চালকরা দুই দেশের মধ্যে পণ্য আনা-নেওয়ার কাজ করেন। বিএসএফ জানিয়েছে, সোনা, রুপা ও ফেনসিডিল চোরাচালানে ট্রাক চালকদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বিএসএফের মুখপাত্র কৃষ্ণ রাও বলেছেন, আমদানি-রপ্তানির পণ্য পরিবহনের আড়ালে কিছু ট্রাক চালক মাদক ও সোনা চোরাচালান করছে—এমন তথ্য তাদের কাছে ছিল। এর ভিত্তিতেই গত রোববার ও সোমবার পেট্রাপোলে বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার অভিযান চালায়।
এক বিবৃতিতে কৃষ্ণ রাও বলেন, দুই দেশের মধ্যে পণ্য পরিবহনে যুক্ত ট্রাক চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করে ৮২টি ভুয়া লাইসেন্স পাওয়া গেছে। এগুলো ভারতীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। বিএসএফ এটাও জানিয়ে দিয়েছে যে, ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্সধারীদের তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেবে না।
আমদানি-রপ্তানির পণ্য পরিবহনে যুক্ত ট্রাকগুলোতে তল্লাশি চালিয়ে কোটি টাকার সোনা জব্দ করার তথ্যও দিয়েছে বিএসএফ। তারা জানায়, গত ৪ জানুয়ারি মোটরসাইকেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় এক ট্রাক চালকের কাছে ১ কোটি ৪৪ রুপির সোনা জব্দ করা হয়। বাংলাদেশ থেকে একটি পণ্যবাহী ট্রাকে লুকিয়ে ওই সোনা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
গেল বছর ১৯ জুলাই বাংলাদেশ থেকে যাওয়া আরেক ট্রাক চালকের কাছ থেকে ১ কোটি ৭১ লাখ রুপির সোনা জব্দ করে বিএসএফ। ওই বছরই ২১ আগস্ট বাংলাদেশে পণ্য এনে ভারতে ফেরা একটি খালি ট্রাক থেকে ১ কোটি ৬৮ লাখ রুপি মূল্যের সৌদি রিয়াল জব্দ করা হয়।
গত কয়েক মাসে এই ট্রাকগুলোতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করার কথাও জানিয়েছে বিএসএফ। এর মধ্যে গত ৯ জানুয়ারি একটি ট্রাক থেকে ৫০ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়।
বিএসএফ বলেছে, সব অবৈধ কর্মকাণ্ডে ভারতের পরিবহন সংশ্লিষ্ট শ্রমিক, চালক এবং এজেন্টদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ রয়েছে। ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী ট্রাক চালকরা সড়ক দুর্ঘটনার জন্যও দায়ী। গত অক্টোবরে এরকম একটি দুর্ঘটনায় বিএসএফের এক জওয়ান নিহত হন।
উল্লেখ্য, এই চেকপোস্ট দিয়ে বছরে প্রায় ২২ লাখ মানুষ দুই দেশে যাতায়াত করেন।
Comments