আফগানিস্তানের ৩ শহর দখলে নিতে তালেবানের হামলা
আফগানিস্তানের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি শহর দখলে নেওয়ার চেষ্টারত তালেবান বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীগুলোর তীব্র লড়াই চলছে।
বিবিসির খবরে বলা হচ্ছে, এর মধ্যে তালেবান বিদ্রোহীরা দেশটির হেরাত, লস্করগাহ ও কান্দাহারের বিভিন্ন অংশে ঢুকে পড়েছে।
সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে অধিকাংশ বিদেশি সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণার পর থেকে তালেবান দেশটির গ্রামীণ এলাকাগুলো দ্রুত দখল নিতে শুরু করে।
এখন সরকারি বাহিনীগুলো গুরুত্বপূর্ণ তিনটি শহরের দখল কতক্ষণ ধরে রাখতে পারবে তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই শহরগুলোর হাতছাড়া হলে সেখানে মানবিক সংকট তৈরি হতে পারে।
ধারণা করা হচ্ছে, এর মধ্যেই দেশটির অর্ধেক এলাকাসহ ইরান ও পাকিস্তানের সঙ্গে থাকা লাভজনক সীমান্ত ক্রসিং তালেবান যোদ্ধাদের দখলে চলে গেছে।
জানা গেছে, লস্করগাহ শহরে শনিবার তালেবান বিদ্রোহীরা গভর্নর অফিস থেকে মাত্র কয়েক শ মিটার দূরে ছিল। কিন্তু রাত নেমে আসায় তারা পিছু হটে। গত কয়েক দিনের মধ্যে এখানে এটা ছিল তাদের দ্বিতীয় প্রচেষ্টা। আফগান বাহিনীর কমান্ডারের ভাষ্য, শুক্রবার তারা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদ্রোহীকে হত্যা করতে সক্ষম হয়েছে।
কান্দাহারের এক এমপি বিবিসিকে জানান, এই শহরটিও পতনের ঝুঁকিতে আছে। এর মধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। মনে হচ্ছে মানবিক সংকট আসন্ন।
গুল আহমদ কামিন নামে ওই এমপি বলেন, ঘণ্টায় ঘণ্টায় শহরটির পরিস্থিতি নাজুক হয়ে উঠছে। শহরের ভেতরে যে লড়াই চলছে, তা গত ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র।
কামিনের বক্তব্য, এখন কান্দাহারকে প্রধান একটি কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করছে তালেবান। শহরটিকে তারা তাদের অস্থায়ী রাজধানী বানাতে চায়। কান্দাহারের পতন হলে এই অঞ্চলের পাঁচ থেকে ছয়টি প্রদেশ সরকারের হাতছাড়া হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, তালেবান যোদ্ধারা শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। তারা শহরে পুরোপুরি ঢুকে পড়লেও সরকারি বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে ভারী কোনো অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে না। কারণ শহরে প্রচুর বেসামরিক মানুষ আছে। দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধের কারণে এর মধ্যে শহর থেকে হাজারো বাসিন্দা পালিয়ে গেছেন।
এদিকে টোলো নিউজ জানিয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলে অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর হেরাতের দক্ষিণাংশে তালেবান যোদ্ধারা ঢুকে পড়ায় দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই তীব্র হয়ে উঠেছে।
হেরাতের পাঁচটি আলাদা এলাকায় লড়াই চলার খবর পাওয়া গেছে। সেখানে আফগানিস্তানের সরকারি বাহিনীর সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
Comments