'সাকিবের মতো পারফর্মার পাওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেটের সৌভাগ্য'
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বল হাতে দারুণ করলেও ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। মন্থর ইনিংস খেলে সমালোচনার মুখেও পড়েছিলেন। কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতে সময় নেননি বাংলাদেশের ক্রিকেটের বিজ্ঞাপন খ্যাত তারকা। টানা দুই ম্যাচে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দেখিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা। এতে মুগ্ধ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ আরও একবার প্রশংসার জোয়ারে ভাসালেন সাকিবকে।
আগের দিন বৃহস্পতিবার পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে খেলা নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। আইসিসি সহযোগী দেশটির বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক বাঁহাতি তারকা সাকিব। ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ৩৭ বলে ৩ ছয়ের সাহায্যে ৪৬ রান করার পর ৯ রানে ৪ উইকেট নেন সাকিব। স্বাগতিক ওমানের বিপক্ষে আগের ম্যাচেও আলাদা করে নিজেকে চিনিয়েছিলেন তিনি। দলের বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ব্যাটিংয়ে করেছিলেন ২৭ বলে ৪২ রান ও বোলিংয়ে নিয়েছিলেন ২৮ রানে ৩ উইকেট। দুই ম্যাচেই তার হাতে ওঠে সেরার পুরস্কার।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবমিলিয়ে ৩৮ বার ম্যাচসেরা হলেন সাকিব। তার কাছাকাছি নেই বাংলাদেশের আর কোনো ক্রিকেটার। এমনকি ক্রিকেটের বৈশ্বিক আসরে দলের সবশেষ ছয়টি জয়ের প্রতিটিতেই তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ম্যাচসেরা।
পাপুয়া নিউগিনিকে ৮৪ রানে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের স্তুতি গাইতে গিয়ে বহু চর্চিত কথাগুলোই আরেকবার বলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ, 'সবসময়ই বলি যে সাকিব চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার। তার মতো পারফর্মার পাওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেটের সৌভাগ্য। ক্যারিয়ার জুড়েই সে অসাধারণ। অন্য সবাইও ভালো, সাকিব বিশেষ কিছু। সে চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার।'
উল্লেখ্য, চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত খেলা তিন ম্যাচে মাত্র ৬.০০ গড়ে ও ৪.৫০ ইকোনমিতে ৯ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। আসরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিদের তালিকায় তিনি আছেন সবার উপরে। সবচেয়ে বেশি রান করা ব্যাটসম্যানদের তালিকাতেও শীর্ষ তিনে অবস্থান করছেন তিনি। সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছে মোট ১০৮ রান। তার উপরে আছেন কেবল নেদারল্যান্ডসের ম্যাক্স ও'ডাওড ও ওমানের জতিন্দর সিং।
Comments