প্রতিবন্ধীরা কাজের সুযোগ পাচ্ছে যে ওয়াটার প্ল্যান্টে

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মৈত্রী শিল্প প্ল্যান্টে কাজের সুযোগ পেয়েছেন শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী বেশ কিছু মানুষ। এখানে মূলত ‘মুক্তা’ ব্র্যান্ডের পানি বোতলজাত করছেন তারা। মন্ত্রণালয়টির শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট-এর অধীনে পরিচালিত হচ্ছে এই কারখানা।
Disability

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মৈত্রী শিল্প প্ল্যান্টে কাজের সুযোগ পেয়েছেন শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী বেশ কিছু মানুষ। এখানে মূলত ‘মুক্তা’ ব্র্যান্ডের পানি বোতলজাত করছেন তারা। মন্ত্রণালয়টির শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট-এর অধীনে পরিচালিত হচ্ছে এই কারখানা।

শারীরিক প্রতিবন্ধীদের দ্বারা উৎপাদিত বোতলজাত পানি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসে অগ্রাধিকার পাবে বলে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

মৈত্রী শিল্পের নির্বাহী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, গণভবন, সংসদ সচিবালয়, সচিবালয় ও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনে এই পানি ব্যবহার করার নির্দেশনা রয়েছে।

শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধীদের কল্যাণের জন্য তিনি অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে এই পানি ব্যবহার করার অনুরোধ জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জিল্লুর রহমান। তিনি মনে করেন, মান ভালো হওয়ার পরও বিপণণ দুর্বলতার কারণে ব্র্যান্ডটির প্রসার হচ্ছে না।

শারীরিক প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানের জন্য সরকার ২০০৪ সালে পানি বোতলজাত করা ও প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনের জন্য প্লান্টটি প্রতিষ্ঠা করে।

প্লান্টটিতে নয়টি ভিন্ন ভিন্ন ধারণ ক্ষমতার বোতলে দৈনিক ১০ থেকে ১২ হাজার লিটার পানি বোতলজাত করা হয়। এর মধ্যে ২৫০ মিলিলিটার, ১ লিটার, ১.৫ লিটার বোতলও রয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বোতলজাত করা পানির সম মূল্যে বিক্রি হচ্ছে মুক্তা ব্র্যান্ডের পানি।

উদাহরণ দিতে গিয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আধা লিটারের এক বোতল পানির দাম ১৫টাকা। এখন যে পরিমাণ পানি প্লান্টটিতে বোতলজাত করা হচ্ছে তার চেয়েও অনেক বেশি পানি বোতলজাত করার ক্ষমতা রাখে প্লান্টটি। আধুনিকীকরণের পর প্লান্টটির উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।

পানি বোতলজাত করার পাশাপাশি সেখানে এখন প্লাস্টিকের বোতলও তৈরি করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশে বছরে ৫০০ কোটি টাকার বোতলজাত পানির বাজার রয়েছে। খুব দ্রুত এর বাজার বৃদ্ধি পাওয়ায় বহুজাতিক কোম্পানিগুলোও এই সেক্টরটিতে আকৃষ্ট হচ্ছে।

মামুন জানান, মৈত্রী শিল্পে এখন ৭৫ জন কর্মরত রয়েছেন। এদের মধ্যে ৬০ শতাংশই শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। প্লান্টের আয় থেকেই তাদের বেতন দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে লাভের মুখ দেখে।

Comments

The Daily Star  | English
du admission test result

Results of DU admission tests of all units published

There was a pass rate of 8.89 percent in A unit [Science] , 10.07 percent in B unit, 13.3 percent in C unit (Business), and 11.75 percent in Cha Unit (Fine Arts)

1h ago