দেশের প্রথম নারী নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম

দেশে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে প্রথমবারের মত একজন নারী নিয়োগ পেয়েছেন। বেগম কবিতা খানম জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর অবসরে ছিলেন।
কবিতা খানম

দেশে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে প্রথমবারের মত একজন নারী নিয়োগ পেয়েছেন। বেগম কবিতা খানম জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর অবসরে ছিলেন।

নির্বাচন কমিশনার হিসেবে একজন নারীকে নিয়োগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো। নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগ দিতে গঠিত সার্চ কমিটিকে দুই জন নারীর নাম সুপারিশ করতে বলা হয়েছিল।

৩১টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের পর রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ পরবর্তী নির্বাচন কমিশনে প্রথমবারের মত নারী সদস্য নিয়োগ দিলেন।

কবিতা গতকাল রাতে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “হ্যাঁ এটা ঠিক যে আমিই দেশের প্রথম নারী নির্বাচন কমিশনার। এর জন্য আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। আমাকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতিকেও ধন্যবাদ জানাই।”

তিনি আরও বলেন, “বিচার বিভাগে কাজের দীর্ঘ ৩১ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমি আমার দায়িত্ব পালন ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করব।”

কবিতার জন্ম ১৯৫৭ সালে নওগাঁও জেলায়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রণিবিজ্ঞান বিভাগ থেকে বিএসসি ও এমএসসি ডিগ্রি অর্জনের পর একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি নিয়েছেন তিনি।

বিসিএস জুডিশিয়াল ক্যাডার হিসেবে ১৯৮৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজশাহী মুন্সেফ কোর্টে যোগদান করেন কবিতা। পদোন্নতি পেয়ে ১৯৯৪ সালে যুগ্ম জেলা জজ ও ২০০০ সালে অতিরিক্ত জেলা জজ হন তিনি।

২০০৬ সালে জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতি পান কবিতা। জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীতে কর্মরত ছিলেন তিনি। গত বছর জুন মাসে তিনি রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।

কবিতার পরলোকগত স্বামী রাজশাহীর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। তার ছেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অফিসার ও মেয়ে ডাক্তার।

Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English

Create right conditions for Rohingya repatriation: G7

Foreign ministers from the Group of Seven (G7) countries have stressed the need to create conditions for the voluntary, safe, dignified, and sustainable return of all Rohingya refugees and displaced persons to Myanmar

7h ago