হানিফের জন্য স্টেজে মন খারাপ হয় কনার
শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা। করোনা মহামারির বিরতি কাটিয়ে আবার প্লেব্যাক, স্টেজ শো ও নতুন গানের রেকর্ডিংয়ে ফিরেছেন তিনি। সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারের মুখোমুখি হন এই সংগীতশিল্পী। কথা বলেছেন- গানের ব্যস্ততা এবং স্টেজ শো নিয়ে।
দীর্ঘদিন পর স্টেজ শো শুরু হয়েছে। বিরতির পর স্টেজে গাইতে কেমন লাগছে?
প্রায় ৬ মাস পর গত মাসে চট্টগ্রামে স্টেজ শো করেছি। স্টেজে ওঠার আগে একটু আলসেমি পেয়ে বসেছিল। কিন্তু, গান শুরুর পর সবকিছু ভুলে গেছি। গান শুরু হলে শিল্পী আর নিজের মধ্যে থাকে না।
তবে, আমি হানিফ আহমেদ ভাইকে খুব মিস করছিলাম। আমার সঙ্গে অনেক বছর ধরে প্যাড বাজিয়েছেন তিনি। তাকে বারবার স্টেজে খুঁজছিলাম। কিন্তু, পাচ্ছিলাম না; চলতি বছরের মার্চে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন তিনি। তার জন্যে আমার খুব খারাপ লাগছিল।
এখন কী কণ্ঠশিল্পীদের গানের ব্যস্ততা কিছুটা কমেছে?
আগে সবার গানের ব্যস্ততা ১০০ স্পিডে থাকলে এখন সেটা ৬০ স্পিডে নেমে এসেছে। এটা শুধু আমার ক্ষেত্রে না, অন্য সবার ক্ষেত্রে একই অবস্থা। আশাকরি সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। স্বাভাবিক হয়ে উঠবে চারদিক।
সংগীতাঙ্গনের অনেকেই মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন…
সংগীতাঙ্গনের অনেকেই আর্থিক সংকটে পড়েছেন। আশাকরি একটু একটু করে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। স্টেজ শো বেশি বেশি হলে এই সংকট কেটে যাবে।
বর্তমানে অডিও, প্লেব্যাকের সংখ্যা কমেছে। বিপরীতে নাটকের গান বেশি হচ্ছে। এতে কী কণ্ঠশিল্পীরা পরিচয় সংকটে পড়ছেন না? আপনি কি মনে করেন নাটকের নামে গানের পরিচিতি হচ্ছে?
এটা হয়তো নতুনদের ক্ষেত্রে হয়। তাদের পরিচয় তেমন থাকে না। কিন্তু, আমাদের মতো শিল্পীদের ক্ষেত্রে এমনটা হয় না। আমার নামেই পরিচিত হয় নাটকের গান। নাটকের মধ্যে গানের ব্যবহার বাড়ছে, আমার মনে হয় এটা ভালো একটি দিক।
নতুন গানসহ স্টেজ শোয়ের কথা শুনতে চাই…
কয়েকদিন আগে ইমন সাহার সুরে 'গলুই' সিনেমায় প্লেব্যাক করলাম ইমরানের সঙ্গে। এমন বিষয়ভিত্তিক গান আগে গাইনি। এছাড়া রিজভী ওয়াহিদের সঙ্গে একটা দ্বৈত গানে কণ্ঠ দিয়েছি। চলতি মাসে ঢাকাসহ ঢাকার বাইরে ৩টা স্টেজ শো আছে। এই হলো আমার গানের খবর।
Comments